ডেস্ক রিপোর্ট
দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচির সপ্তম দিন শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন ১ লাখ ৯৪ হাজার ৩৭১ জন। এ সংখ্য গতকালের চেয়ে কিছুটা কম।
শনিবার টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে ১ লাখ ২৭ হাজার ৪৩ জন পুরুষ আর ৬৭ হাজার ৩২৮ জন নারী। এদের ৩১ জনের মধ্যে সামান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এ পর্যন্ত দেশে টিকা গ্ৰহীতার সংখ্যা ৭ লাখ ৩৬ হাজার ৬৮০ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ১৩ হাজার ৬২১ জন। নারী ২ লাখ ২৩ হাজার ৫৯ জন। সামান্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে ৩৯৪ জনের মধ্যে।
এর আগে, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) থেকে দেশে ব্যাপকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালসহ সারাদেশের এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৭০ লাখ ডোজ রয়েছে এবং করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।
আনুষ্ঠানিক টিকাদান কর্মসূচি শুরুর আগে প্রত্যাশামাফিক রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে অন-দ্য-স্পট রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করা হয়। চালুর পর প্রথম দিনে মোট টিকা নেন একত্রিশ হাজার একশ ষাট জন। ৮ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাসের টিকা দিতে বয়সসীমার ক্ষেত্রেও শর্ত কিছুটা শিথিল করে সরকার। সোমবার আনা পরিবর্তনে বলা হয়, এখন থেকে ৪০ বছরের বেশি বয়সীরাও স্থানীয় যেকোনো সরকারি হাসপাতালে গিয়ে করোনাভাইরাসের টিকা নিতে পারবেন, নিবন্ধনও সেখানেই করানো যাবে।
তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বৃহস্পতিবার করোনার টিকা প্রদানে কেন্দ্রে গিয়ে নিবন্ধন সুবিধা বাতিল করা হয়েছে বলে জানান।