সারাদেশ ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০৪:৩০

১৯ বছর পর বিচার পেল আয়েশা

নীলফামারী প্রতিনিধি

নীলফামারীতে স্ত্রীর করা যৌতুক ও নির্যাতনের মামলায় স্বামীর ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাস কারাগারে থাকার আদেশ দিয়েছে আদালত।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আসামীর অনুপস্থিতিতে ওই রায় দেন নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ আহসান তারেক।

মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৪ সালের ১০ জুলাই নীলফামারী জেলা সদরের বিশমুড়ি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ২০ হাজার টাকা যৌতুক নিয়ে বিয়ে করেন একই উপজেলার ইটাখোলা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের মেয়ে আয়েশা খাতুনকে। এর পর ২০০২ সালে আরো ১০ হাজার টাকা যৌতুক দাবিতে আয়েশাকে অমানবিক নির্যাতন চালায় স্বামী। এঘটনায় আয়েশা খাতুন বাদী হয়ে ২০০২ সালের ২২ আগস্ট স্বামীর বিরুদ্ধে নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ একটি মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১৯ বছর পর আদালত আসামীকে উক্ত সাজা প্রদান করেন।

ওই আদালতের বিশেষ পিপি রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপী মামলার রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেন জানান, যৌতুক মামলায় আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে উক্ত ধারায় সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাস কারাগারে থাকার আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. আহসান তারেক।