অর্থ ও বাণিজ্য ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৮:১০

বাংলাদেশকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়েছে বিশ্বব্যাংক

ডেস্ক রিপোর্ট।।

বাংলাদেশে প্রকল্প বাস্তবায়নে যত অর্থের প্রয়োজন তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে বলে সরকারকে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। একই সঙ্গে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সংস্থাটি সব সময় থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে তার দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এসব কথা জানান বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর (বাংলাদেশ-ভুটান) মার্সি টেম্বন।

বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, নানা ধরনের উন্নয়নকাজ ও বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ব্ল্যাঙ্ক চেক দিয়েছে। সংস্থাটি বলেছে আপনাদের প্রয়োজন মতো যত খুশি টাকা লিখে নেন। বাংলাদেশে অর্থায়নের ক্ষেত্রে আর কোনো লুকোচুরি থাকবে না।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে ৮৮ শতাংশ ব্লু-ইকোনমি কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে। এ খাতে কাজ করতেও ইচ্ছা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। নেদারল্যান্ডসের পাশাপাশি ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংক এগিয়ে আসবে। এ খাতে অর্থ ও প্রকল্প বাস্তবায়নেও সহায়তা দেবে। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নে যদি ভারতও আসতে চায়, তবে স্বাগত জানাব।

বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সড়ক ব্যবস্থাপনায়ও সব ধরনের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেবে বলে জানান মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে বাংলাদেশের সড়ক উন্নয়নে যত টাকার প্রয়োজন তারা সেটি দেবে। সড়কে বাস-বে ও চালকদের জন্য বিশ্রামাগার নির্মাণসহ নানা উন্নয়নকাজ করছে সরকার। এসব দেখে প্রশংসা করেছে বিশ্বব্যাংক।

নতুন আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ সভায় নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করবে সংস্থাটি। বাংলাদেশের বিষয়ে সংস্থাটির ইতিবাচক ধারণা হয়েছে। আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সংস্থাটি অর্থায়ন করতে উন্মুখ।’

মার্সি টেম্বন বলেন, ‘আমি নিজেই বাংলাদেশকে চিনে নিয়েছি। সুন্দরবন ছাড়া বাংলাদেশের সব স্থানে ঘুরেছি। বাংলাদেশের অবকাঠামোগত সুবিধাসহ আর্থিক বিষয়ে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। নদী, পানি ও ব্লু-ইকোনমিতে বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। মূলত আমি বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে ব্র্যান্ডিং করতে এসেছি। ব্লু-ইকোনমির ৮৮ শতাংশ কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।