আন্তর্জাতিক ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১২:২৯

এবার আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের বিচার দাবি

ডেস্ক রিপোর্ট

জম্মু কাশ্মীর ঐক্য ফাউন্ডেশন আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে পাকিস্তানের গণহত্যার বিচার দাবি করেছে। তারা গণহত্যা প্রতিরোধের জন্য আন্তর্জাতিক জোট গঠনের ইচ্ছার কথাও ঘোষণা করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারে হলোকাস্ট স্মরণ দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক সেমিনারে দাবি করা হয়।

সেমিনারে আদালতের প্যানেল সদস্যরা পাকিস্তানকে গণহত্যার দেশ হিসেবে অভিহিত করেছেন। কারণ হিসাবে বলা হয়দেশটি ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, বেলুচিস্তান, হাজারাস, আফগানিস্তান ইত্যাদি দেশসহ সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে গণহত্যা চালিয়ে আসছে।

প্যানেল সদস্যরা বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের জননী এবং বিশ্বজুড়ে প্রতিটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে।

প্যানেল সদস্যদের মধ্যে যুক্তরাজ্য সংসদের এমপি বব ব্ল্যাকম্যান অনলাইনে যুক্ত হন। এছাড়াও সাংবাদিক লেখক এছাড়া ফ্রাঙ্কোইস গৌটিয়ার এবং বাংলাদেশ থেকে . নুজহাত চৌধুরী সেমিনারে যুক্ত হন। আরও ছিলেন পানুন কাশ্মীরের চেয়ারম্যান . অজয় ক্রুঙ্গু, কে ফাইলের লেখক বশির আসাদ, ক্রুশায়ার্সের লেখক সন্ধ্যা জৈন, বেলুচিস্তান এবং জম্মু কাশ্মীর ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি আজাত জামওয়াল উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বব ব্ল্যাকম্যান তার বক্তব্যে বলেন, যুক্তরাজ্য আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক হলোকাস্টের দিনটি পালন করে। গণহত্যা প্রতিরোধের জন্য এবং সঠিক চিন্তা-চেতনার জন্য সবাই একত্রে গণহত্যা প্রতিরোধের লড়াইয়ে জড়িত হওয়া জরুরি বলে তিনি মনে করেন।

বাংলাদেশ থেকে ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানের হাতে গণহত্যার শিকার হয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তান সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালে হিন্দু বা মুসলমানের মধ্যে পার্থক্য না করেই বাংলাদেশিদের হত্যা করেছিল।

পাকিস্তানের মদদে সন্ত্রাসীরা কাশ্মীরের হিন্দুদের যে ভয়াবহতার মুখোমুখি করেছে তার বর্ণনা দেন . অজয় ক্রুঙ্গু।

ফ্রাঙ্কোইস গৌটিয়ার, কাশ্মীরি হিন্দুদের গণহত্যা, বাংলাদেশ পাকিস্তানের গণহত্যার বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। সন্ধ্যা জৈন বেলুচিস্তানে পাকিস্তানি শোষণের ঘটনা বর্ণনা করেন। বশির আসাদ বলেন, বাধা দানকারীদের শক্ত হাতে মোকাবিলা করা দরকার।

জম্মু কাশ্মীর ঐক্য ফাউন্ডেশনের সভাপতি আজাত জামওয়াল বলেন, ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং জম্মু কাশ্মীরে পাকিস্তানের চালানো গণহত্যাগুলির স্বীকৃতি দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র।

. গোপাল পার্থার্থী শর্মা অতিথিকে স্বাগত জানিয়ে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলেনা বিস্টিও, চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স, রোমানিয়ার দূতাবাস, . বিজয় সাগর ধেমন, কর্নেল রাকেশ আইমা, সুশীল পণ্ডিত, প্যানেলবিদ, এসপি স্লথিয়া, ডা. মনিকা লঙ্গেহ, ডা. পবন দত্ত, বিক্রম সিং জসরোটিয়া, গোটাম সিং, অমিত গুপ্ত প্রমুখ।