অপরাধ ও দুর্নীতি ২১ জানুয়ারি, ২০২১ ০৩:০২

ওয়াসার যে ভুলে নিঃস্ব শফিকুল

ডেস্ক রিপোর্ট

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সরাই জাফরাবাদের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম ওয়াসার এক ভুলে ভিটেমাটি হারিয়ে তিনি এখন নিঃস্ব তবে নিয়ে কোনো ভ্রুক্ষেপ করছে না সংস্থাটি

২০১২ সালের ১৩ মে ওইদিন সকাল পর্যন্ত এখানে দোতলা বাড়ি ছিল ছিল একটি দোকানও

জানা গেছে, ২০১২ সালে গভীর নলকূপ স্থাপনের জন্য ওয়াসাকে ওই এলাকার ১৩৫ নম্বর দাগের শন্য তিন শতাংশ জমি বরাদ্দ দেয়া হয় ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের দেয়া খাস জমির পরিবর্তে পাশের ব্যক্তি মালিকানাধীন ১৩৭ নম্বর দাগের শফিকুল ইসলামের দোতলা আবাসিক ভবন দোকান ভেঙে পাম্প বসায় ওয়াসা

বিষয়টি জানিয়ে বহুবার আবেদন করা হলেও ভ্রুক্ষেপ করেনি ওয়াসা নিয়ে পরবর্তীতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় ২০১৮ সালে দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে ভুল স্বীকার করে বর্তমান বাজার মূল্যে জমিটি কিনে নেওয়ার সুপারিশ করা হয়

চার সদস্যের কমিটি করে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রক্রিয়াটি শেষ করতে বলা হয় অথচ গত দুই বছরেও এর কোনো অগ্রগতি হয়নি, ক্ষতিপূরণ পায়নি ব্যক্তি বা পরিবারটি

বিষয়ে ভুক্তভোগী শফিকুল ইসলামের অভিযোগ, ‘মকবুল সাহেবের মিষ্টি পানি দরকার উনি দূরের পানি খাবেন না উনি বলছে আমার বাসার পাশে একটা পাম্প বসাতে হবে এটা মিষ্টি পানি এটাই চাই আমাদের, তুই কই যাবি এটা তোর ব্যাপার আমরা কিছু জানিনা আমি অনেকভাবে ওয়াসাকে আবেদন করেছি কোন আবেদনে সাড়া দেয়নি ওয়াসা

শফিকুল ইসলামের স্ত্রী বলেন, ‘আমি রাতে ঘুমাতে পারি না টেনশনের জন্য ঘুমালেও একটা- দেড়টার পর ঘুম ভেঙে যায় বসে বসে সময় কাটাতে হয় দুশ্চিন্তায় ঘুম আসে না ভেবেই পাই না কি করে চলবো

শফিকুল ইসলামের স্ত্রী কান্না করতে করতে বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসা আমাদের শুধু ঘোরাচ্ছেন আজ-কাল-পরশু দিবে বলে আমরা ২০১২ সালের পর থেকে অনেক কষ্টে আছি

ঘটনার ভুল স্বীকার করলেও গত দুই বছরেও শফিকুল ইসলামকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেয়নি ওয়াসা তাই নিঃস্ব শফিকুল এখন থাকছেন ভাড়া বাসায় আর সব অভিযোগ শুনেও নির্বিকার ওয়াসার এমডি

বিষয়ে ওয়াসা পরিচালক তাকসিম খান বলেন, ‘ওয়াসা তো জমি কিনতে পারবে না ওয়াসার তো জমি কেনার টাকা নেই ২০১৮ সালে আমি যখনি শুনেছি বলেছি তাকে (শফিকুল ইসলাম) জায়গাটা ছেড়ে দেন এই ভুল শোধরাতে কত বছর লাগবে আমি জানি না তবে বেশি সময় লাগা উচিত না এই সময়ে বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে পারবো না ফাইল দেখে সবার সাথে কথা বলে জানাতে হবে

সৃত্র: সময়