অপরাধ ও দুর্নীতি ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ১২:৪৭

আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগ: তদন্তে পিবিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

হেফাজতে ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে দায়ের করা মামলার তদন্তে নেমেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আজ মঙ্গলবার পিবিআইয়ের একটি দল চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসায় যায়। মৃত্যুর কয়েকদিন আগ পর্যন্ত যে মাদ্রাসাটির মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন আহমদ শফী।

পিবিআই চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেনের নেতৃত্ব যাওয়া দলটি হেফাজত ইসলামের বর্তমান আমীর জুনায়েদ বাবুনগরীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় দুই ঘণ্টা অবস্থান শেষে দুপুর সোয়া একটার দিকে মাদ্রাসা ত্যাগ করেন তারা।

এসময় পুলিশ সুপার মো. ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আল্লামা শফীকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার এজাহারে যে সমস্ত বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যে অভিযোগগুলো আনা হয়েছে তার প্রত্যেকটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বাক্ষী নেওয়া এবং আলামত সংগ্রহ অব্যাহত আছে। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে যা কিছু করা প্রয়োজন আমরা তার সবকিছু করবো। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মামলার প্রতিবেদন দেওয়ার লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তদন্ত দলের সঙ্গে কী বিষয়ে কথা হয়েছে? সে বিষয়ে হেফাজত আমির জুনায়েদ বাবুনগরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বিস্তারিত কিছু বলতে পারবো না। তদন্তকারী দল আমাদের কাছে যা জানতে চেয়েছেন আমরা তার উত্তর দিয়েছি।

এসময় পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাটাহাজারী সার্কেল) আবদুল্লাহ আল মাসুম ও হাটহাজারী থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। এরপর গত ১৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিবলু কুমার দের আদালতে মানসিক নির্যাতন করে আল্লামা শফীকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করেন তার শ্যালক মোহাম্মদ মাঈনুদ্দিন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে দায়িত্ব দেন।

ওই মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয় হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব ও হাটহাজারী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মো. নাসির উদ্দিন মুনির, দুই নম্বর আসামি করা হয় অপর যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে। এছাড়াও মামলায় আসামি হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মীর ইদ্রিস, হাবিব উল্লাহ, আহসান উল্লাহ, জাকারিয়া নোমান ফয়েজী, নুরুজ্জামান নোমানী, আব্দুল মতিন, মো. শহীদুল্লাহ, মো. রিজওয়ান আরমান, মো. নজরুল ইসলাম, হাসানুজ্জামান, এনামুল হাসান ফারুকী, মীর সাজেদ, জাফর আহমদ, মীর জিয়াউদ্দিন, আহমদ, মাহমুদ, আসাদউল্লাহ, জোবায়ের মাহমুদ, এইচ এম জুনায়েদ, আনোয়ার শাহ, আহমদ কামাল, নাছির উদ্দিন, কামরুল ইসলাম কাসেমী, মোহাম্মদ হাসান, ওবায়দুল্লাহ ওবাইদ, জুবায়ের, মোহাম্মদ, আমিনুল হক, রফিক সোহেল, মোবিনুল হক, নাঈম, হাফেজ সায়েম উল্লাহ ও হাসান জামিলের নাম রয়েছে।