অপরাধ ও দুর্নীতি ১ জানুয়ারি, ২০২১ ০২:১১

শিক্ষককে জীবননাশের হুমকি দিল সহকারী প্রক্টর

ডেস্ক রিপোর্ট

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দায়িত্ব থাকা প্রক্টরিয়াল বডির এক সদস্য কর্তৃক জীবননাশের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন।

শুক্রবার (১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ভুক্তভোগী শিক্ষক জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ইবি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। জিডি নম্বর-২৩। অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টরের নাম এমএম নাসিমুজ্জামান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। 

ভুক্তভোগী শিক্ষক বলেন, সুযোগ পেলেই তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেন। আমি সম্মানার্থে বারবার বিষয়টি এড়িয়ে গেছি। আজকে তিনি সরাসরি লাঠি দিয়ে আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এজন্য আমি থানায় ডায়েরি করেছি।

অভিযুক্ত সহকারী প্রক্টর এম এম নাসিমুজ্জামান বলেন, সে বাসার সামনে জিগড় কাছের ডাল রোপণ করলে আমি নিষেধ করি। জিগড় গাছের ডালা না লাগিয়ে অন্য কিছু লাগাতে বলি। কিন্তু তিনি বিষয়টি শুনেননি। এখানে অন্য কোনো ঘটনা ঘটেনি। তার সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা ছিল না।

জিডি সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার মেঘনা ভবনের সামনে পূর্ব শত্রুতার জেরে সহকারী প্রক্টর নাসিমুজ্জামান ভুক্তভোগী শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে হত্যার উদ্দেশে তেড়ে আসে। এসময় তিনি শিক্ষক আলতাফ হোসেনকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি দেন।  

এছাড়াও তিনি আলতাফ হোসেনকে 'তোকে আজ খুন করবো, তোর কোন বাবা আছে ডাক' বলে হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে সহকারী প্রক্টর নাসিমুজ্জামান আলতাফ হোসেনকে হত্যার উদ্দেশে লাঠি নিয়ে তেড়ে আসেন।  

জিডিতে আলতাফ হোসেন আরো উল্লেখ করেন, ভবনের বিভিন্ন কাজে অন্যায়ভাবে সুবিধা নিতে না পারা এবং ভবনের পেছনে ফাঁকা জায়গায় বাগান করা নিয়ে অন্যায়ভাবে প্রাধান্য বিস্তার করতে না পারার ক্ষোভে তার উপর বিভিন্নভাবে প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেন নাসিমুজ্জামান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এটা অপ্রত্যাশিত। ভিসি স্যার নির্দেশ দিয়েছেন সবার সহাবস্থানের জন্য। কাল ক্যাম্পাসে এসে বিষয়টি নিয়ে উভয়ের সঙ্গে কথা বলবো।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বলেন, এটি একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা। প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি আমি। তিনি আগামীকাল বিষয়টি নিয়ে বসবেন।