আইন ও আদালত ২৯ আগস্ট, ২০১৯ ০৭:৪৭

মিডিয়ায় কথা না বলার শর্তে মিন্নির জামিন

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে জামিনের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে, গণমাধ্যমের সামনে কথা বললে তার জামিন বাতিল হবে বলেও জানিয়েছেন হাইকোর্ট। এসপির বক্তব্যের ব্যাপারে আইজিপিকে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।

গতকাল বুধবার, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে মিন্নিকে জামিন দেয়ার বিষয়ে রুলের শুনানি শেষ হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির হাইকোর্টে মামলার তথ্য-উপাত্ত দাখিল করেন।

এর আগে, রিফাত শরীফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলার প্রত্যক্ষদর্শী ও প্রধান সাক্ষী তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে কেন জামিন দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এছাড়া, বরগুনার এসপিকে মিন্নির দোষ স্বীকার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

গত ৫ই আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মিন্নির পক্ষে জামিন আবেদন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেডআই খান পান্না।

রিফাত হত্যায় জড়িত থাকা সন্দেহে গত ১৬ই জুলাই সকাল পোনে দশটার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে মিন্নিকে বরগুনা পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়। ওইদিন রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়। পরের দিন, বিকেল সোয়া তিনটার দিকে কারাগার থেকে বরগুনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে নেয়ার ৪৮ ঘন্টা পরেই ১৯শে জুলাই বেলা দুইটার দিকে মিন্নিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজীর আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়া হয়। একইদিন রাত সাড়ে ৭টার দিকে মিন্নিকে বরগুনা কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে মিন্নি বরগুনা কারাগারে রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৬শে জুন সকালে প্রকাশ্যে বরগুনা সরকারি কলেজ গেটের সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে আহত করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যালে নেয়ার পর সেখানেই রিফাত শরীফ মারা যান। এ ঘটনায় রিফাতের বাবা আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে বরগুনা থানায় হত্যা মামলা করেন।