শিক্ষা ২৪ নভেম্বর, ২০২০ ০৭:৫৭

উচ্চশিক্ষায় আয়ারল্যান্ড যেতে চাইলে

ডেস্ক রিপোর্ট

ইউরোপের অন্যতম ধনী দেশ আয়ারল্যান্ড। দিন দিন উচ্চশিক্ষার জন্য কদর বাড়ছে দেশটির। আয়ারল্যান্ডে ব্যাচেলর ডিগ্রি সাধারণত ৩ থেকে ৪ বছর, মাস্টার্স ১.৫ থেকে ২ বছর এবং ডক্টরেট ৩ থেকে ৪ বছরের হয়ে থাকে।

এদেশে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে, প্রধান ভাষা আইরিশ হলেও দেশটিতে দাপ্তরিক কাজে বেশি ব্যবহার হয় ইংরেজি। ফলে বিদেশী শিক্ষার্থীদের আইরিশ শেখার বেগ পোহাতে হয় না।

আয়ারল্যান্ডের বিখ্যাত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে রয়েছে ডাবলিন সিটি বিশ্ববিদ্যালয়, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব আয়ারল্যান্ড, ডাবলিনের ট্রিনিটি কলেজ ও ইউনিভার্সিটি কলেজ, রকওয়েল কলেজ, গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি, অ্যাথোলেন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি প্রভৃতি।

আয়ারল্যান্ডে টিউশন ফি অনেক বেশি। দেশটিতে স্নাতক পর্যায়ে পড়তে গেলে একজন শিক্ষার্থীকে প্রতি সেমিস্টারে ৯৭৫০ থেকে ৫২০০০ ইউরো গুণতে হয়। স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে প্রতি সেমিস্টারে খরচ হয় ৪০০০ থেকে ৪৫০০০ ইউরো। তবে দেশটিতে আছে স্কলারশিপের সুবিধাও। আয়ারল্যান্ডে প্রতিবছর প্রায় ১০০ স্কলারশীপ দেওয়া হয়ে থাকে।

আইইএলটিএস আয়ারল্যান্ডে আবেদনের প্রাথমিক যোগ্যতা। মোটামুটি ৬ থেকে ৬.৫ স্কোর হলে আবেদন করা যায় আয়ারল্যান্ডে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোর্স ভেদে আরও বেশি লাগতে পারে। প্রয়োজন হতে পারে জিআরই, জিম্যাট বা টোফেলের।

আইরিশ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বছরে একবার বিদেশি শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারে। সাধারণত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে আবেদন করতে হয়। আবার কিছু কিছু কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বছরে দুইবারও ভর্তির সুযোগ দেয়।

আয়ারল্যান্ডে ১ হাজার ইউরো হলে সাধারণত একজন শিক্ষার্থী তার থাকা-খাওয়ার খরচ মেটাতে পারে। সেখানে বিদেশি শিক্ষার্থীরা ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই খণ্ডকালীন কাজের অনুমতি পান। সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ আছে। আর গ্রীষ্মের ছুটিতে তিন মাস ‘ফুল টাইম’ কাজ করা যায়।

রেস্টুরেন্ট, দোকান, শপিং মলে কাজ করে ঘণ্টায় ৭ থেকে ১২ ইউরো পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। তবে পার্ট-টাইম চাকরি করে আয়ারল্যান্ডে নিজের খরচ ও পড়াশোনার খরচ দুটো চালানো একটু কঠিন। তাই চোখ রাখতে হতে পারে স্কলারশিপের দিকে।