ডেস্ক রিপোর্ট ।।
গৃহস্থালির কাজে বেশি সময় দেয়ার কারণে অনেক নারী চাকরি করতে পারেন না। আবার শিশুসন্তান লালন-পালনের জন্যও অনেকে চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হন কিংবা চাকরি করতে পারেন না। এসব ক্ষেত্রে পুরুষদের তেমন কোনো সমস্যা হয় না। এ ছাড়া রান্নাবান্নাসহ বাসার আনুষঙ্গিক কাজ করতে হয় বলে নারীদের পক্ষে নিয়মিতভাবে কোনো কাজ বা ব্যবসা-বাণিজ্য করা সম্ভব হয় না।
কিন্তু গৃহস্থালির কাজের জন্য নারীরা কোনো মজুরি পান না। সামাজিক কারণে মজুরি দেয়ার প্রচলনও তৈরি হয়নি। পুরুষদের তুলনায় সাড়ে তিন গুণ বেশি মজুরিবিহীন কাজ করেন এ দেশের নারীরা।
একজন নারী এক সপ্তাহে গড়ে ২৪ ঘণ্টা গৃহস্থালির কাজ করেন, কিন্তু কোনো মজুরি পান না। সেই হিসাবে দিনে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা মজুরিবিহীন কাজ করেন তিনি। এসব কাজের মধ্যে আছে রান্নাবান্না, কাপড় ধোয়া, বাজার-সদাই করা, বাচ্চাদের আদর-যত্ন, স্কুলে আনা- নেয়া ইত্যাদি।
অন্যদিকে একজন পুরুষ সপ্তাহে এমন কাজ করেন মাত্র সাত ঘণ্টা। দিনে করেন গড়ে এক ঘণ্টা। নারী-পুরুষদের নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরোর (বিবিএস) তৈরি পরিসংখ্যান-বিষয়ক এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে।
জাতীয় হিসাবে এই ধরনের মজুরিবিহীন কাজের হিসাব করার সুযোগ আছে। উন্নত দেশে এই ধরনের হিসাব রাখা হয়, যদিও মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) সেটা আসে না। তবে জাতীয় হিসাবে তা আলাদা করে রাখা হয়। এটি নারীর মজুরিবিহীন কাজের স্বীকৃতি।