শিক্ষা ২৯ অক্টোবর, ২০২০ ০৮:৫৪

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় অটো পাশ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক 

করোনার প্রাদূভাবে এ বছর এইচএসসি ও সমমানের পর্যায়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এই পর্যায়ের  ফল এর আগের দুই পরীক্ষার, জেএসসি ও এসএসসি, গড়ের মাধ্যমে নির্ণয় করার কথা জানানো হয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঐ সিদ্ধান্ত পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশও সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি তোলে পরীক্ষা না নিয়ে গড়ের মাধ্যমে তাদের ফলাফল প্রকাশের জন্য। 

আজ বৃহস্পতিবার জুমে হওয়া একটি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের 'অটো পাস' বা 'অটো প্রমোশন' দেয়ার বিষয়টি এখনই ভাবছে না সরকার।

তিনি বলেন, "এইচএসসি'র পর একজন শিক্ষার্থী আরো পড়াশোনা করবে বলেই আমরা ধরে নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের পরীক্ষার পর একজন শিক্ষার্থী কর্মজীবনে প্রবেশ করে। কাজেই পরীক্ষা না নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের একজন শিক্ষার্থীকে মূল্যায়ন করলে তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।"

দ্রুততম সময়ে পরীক্ষা নেয়ার প্রস্তুতি সরকারের আছে জানিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান যেন তারা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে রাখে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুনুর রশিদও নিশ্চিত করেন যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পরীক্ষা নেয়ার পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এমনকি করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে স্বাভাবিক পদ্ধতিতে পরীক্ষা না নেয়া গেলে বিকল্প পদ্ধতিতে সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইনে পরীক্ষা নেয়ার প্রাথমিক প্রস্তুতিও কর্তৃপক্ষের রয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, "সফটওয়্যার ভিত্তিক পরীক্ষা নেয়ার একটি ব্যবস্থা এরই মধ্যে প্রাথমিকভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা ঐ সিস্টেমটি দিয়ে পরীক্ষামূলক ভিত্তিতে একটি পরীক্ষা নিয়ে দেখবো এবং তা যদি সফল হয় তাহলে ঐ সফটওয়্যারের মাধ্যমে অন্যান্য পরীক্ষাগুলো নিতে পারবো।"

তবে শিক্ষার্থীদের অনেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের সাথে একমত হলেও কেউ কেউ মনে করেন শিক্ষা কার্যক্রম পিছিয়ে যাওয়ায় দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন তারা।

চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষার্থী সাবিহা শফিকের কয়েকটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার পর করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, এখনো তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা বাকি রয়েছে তার।

তার আশঙ্কা, পরীক্ষা শেষ করতে দেরি হওয়ায় তার লক্ষ্য অনুযায়ী সময়মতো বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারবেন না তিনি।