বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ২০ অক্টোবর, ২০২০ ০৭:৫২

"আইটি সেক্টরে ১০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ"

নিজস্ব প্রতিবেদক
তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হবে। দেশের ৭০ শতাংশ জনগোষ্ঠী যাদের বয়স ৩৫ বছরের নিচে তারাই ভবিষ্যত উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার শক্তিশালী হাতিয়ার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

 আজ মঙ্গলবার প্রতিমন্ত্রী ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এসওএস চিলড্রেন্স ভিলেজস বাংলাদেশের উদ্যোগে “ইয়ুথক্যান” এর উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য তরুণদের দক্ষতা ও কর্মসংস্থানে সুযোগ সৃষ্টি করা উল্লেখ করে পলক বলেন শিশু, কিশোর ও তরুণরা যেন প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যৎ পৃথিবীর জন্য তৈরি হতে পারে সে লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মাননীয় উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এর পরিকল্পনায় আইসিটি বিভাগ সারাদেশে স্কুল পর্যায়ে ৮,০০০ (আট হাজার) শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি বলেন সারাদেশে আরো ৫,০০০ (পাঁচ হাজার) শেখ রাসেল ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ে ৩০০টি (তিনশত) স্কুলে “স্কুল অব ফিউচার” স্থাপন এবং সারাদেশের ৬৪টি জেলায় ২০২৫ সালের মধ্যে শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন এসওএস ভিলেজের সদস্যদের প্রযুক্তি জ্ঞান আহরনের লক্ষে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, “স্কুল অব ফিউচার” ও ইনকিউবেশন সেন্টারের কাছাকাছি ৭টি এসওএস ভিলেজের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে দেওয়া হবে। 

তিনি আরও বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে ইতোমধ্যে এ সেক্টরে গত ১১ বছরে ১০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আরও ১০ লক্ষসহ মোট ২০ লক্ষ কর্মসংস্থান আইটি সেক্টরে নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও সাড়ে ৬ লক্ষ আইটি ফ্রিল্যান্সার ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি আয় করে বাংলাদেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আইসিটি বিভাগের লার্নিং এন্ড আর্নিং প্রকল্পের মাধ্যমে এসওএস ভিলেজের সদস্যদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া হবে।  

অনুষ্ঠানে অন্যান্যোর মধ্যে বক্তৃতা করেন এসওএস এর ন্যাশনাল ডাইরেক্টর ড. মোহাম্মদ এনামুল হক, এসওএস গ্লোবাল প্রাইভেট ম্যানেজার মি. ইউ এগার, এসওএস এর ইন্টারন্যাশনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ রাজনিস জেন, এইচএসবি বাংলাদেশের সিইও মাহুবুব রহমান, গ্রামীনফোন বাংলাদেশ এর সিইও ইয়াসির আজমানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ।

 এসময় প্রতিমন্ত্রী “ইয়ুথক্যান” এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।