নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেনীতে ধর্ষণের বিরুদ্ধে নয় দফা দাবিতে ঢাকা থেকে নোয়াখালীর উদ্দেশে লংমার্চকারীদের ওপর হামলাকারীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই হামলার ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে ফেনী শহরের শান্তি কোম্পানি মোড় এলাকায় তাদের ওপর হামলা চালায় একদল যুবক।
বিষয়টি নিশ্চিত করে লংমার্চে থাকা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আল কাদরি জয় সাংবাদিকদের বলেন, ফেনীতে সমাবেশ শেষে নোয়াখালীর উদ্দেশে বাসে ওঠার সময় লাঠিসোঁটা ইট নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন বলেন, হামলাকারীদের প্রতিহতের চেষ্টা করেছে পুলিশ। ঘটনার পর লংমার্চে অংশকারীদের নোয়াখালী পাঠানো হয়েছে।
হামলাকারীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে স্থানীয়দের বরাতে অভিযোগ করেন জয়।
তবে এই অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কারও বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়নি।
লংমার্চের প্রায় ছয়টি গাড়ি ভাংচুর করা হয় বলে কর্মসূচিতে থাকা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল জানিয়েছেন।পুলিশ এসময় নিশ্চুপ ছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণজাগরণ তৈরির লক্ষ্যে শুক্রবার নোয়াখালীর পথে এই লংমার্চ শুরু করে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’। শনিবার বিকেলে নোয়াখালী শহরে সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শেষ হবে।
