জাতীয় ১৬ অক্টোবর, ২০২০ ০৫:০৬

প্রতিদিন ৩২টি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক

গত কয়েক বছর ধরে চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে বছরে ১২ হাজার শিশুর মৃত্যু হয় পানিতে ডুবে।সেই হিসেবে গড়ে প্রতিদিন ৩২টি শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ঢাকার সোনারগাঁও হোটেলে বেসরকারি সংগঠন সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশের (সিআইপিআরবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানানো হয়।

সিআইপিআরব উপ-নির্বাহী পরিচালক আমিনুর রহমান বলেন, শিশুদের পানিতে ডুবে যাওয়ার ৫০ শতাংশ ঘটনা ঘটে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টার মধ্যে, যখন মা পরিবারের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

সময়ে বাড়ির পাশের পুকুর, খালে ডুবে শিশুরা মারা যায় এবং এসব জলাশয় সাধারণ বাড়ি থেকে ২০ মিটার দূরত্বের মধ্যে থাকে।

শিশুকে সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখলে দুর্ঘটনা রোধ সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সারাবিশ্বে আঘাতজনিত কারণে শিশুমৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ পানিতে ডুবে মৃত্যু।

প্রতিবছর লাখ ৫৯ হাজার জন পানিতে ডুবে মারা যায়, যার মধ্যে ৯৭ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর মধ্যে ২০ শতাংশের বয়স বছরের কম।

আমিনুর আরও জানান, বাংলাদেশে গবেষণার দুই বছর প্রায় ১২ লাখ মানুষের দুর্ঘটনাজনিত আঘাত বিষয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে বছর থেকে বছর বয়সী লাখ ২২ হাজার ২৩ শিশু অন্তর্ভুক্ত ছিল। গবেষণার ৭০ হাজার শিশুকে ডে-কেয়ার সেন্টার শিশুবেষ্টনী বা উভয় কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল।

গবেষণার অংশ হিসেবে ৫৫ হাজার ৭৯০টি শিশুবেষ্টনী এবং হাজার ২০৫টি ডে-কেয়ার সেন্টার সাত উপজেলার ৫১টি ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়।

ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের আর্থিক সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটি, সিআইপিআরবি আইসিডিডিআর,বির যৌথ উদ্যোগে ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশের সাতটি উপজেলা রায়গঞ্জ, মনোহরদী, শেরপুর, মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর দাউদকান্দিতে গবেষণা পরিচালিত হয়।