খেলাধুলা ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০৩:২৭

২০ জন কাউন্সিলরও সালাউদ্দিনের পক্ষে নেই: মানিক

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে বাফুফে নির্বাচনের ইশতিহার ঘোষণা করেন জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় কোচ মানিক।বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচনে কাজী মো. সালাউদ্দিনকে চ্যালেঞ্জ করে সভাপতি পদে লড়ছেন শফিকুল ইসলাম মানিক। তার দাবি কাউন্সিলরদের মধ্যে ২০ জনও তিনবারের সভাপতি সালাউদ্দিনের পক্ষে নেই।

বাফুফে নির্বাচনে কোটি কোটি টাকার ছড়াছড়ি; কথিত আছে কাউন্সিলরদের পকেট গরমের মৌসুম এটি। টাকার খেলায় টিকতে পারবেন তো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের এই কোচ।

সাংবাদিকদের কাছে ২১ দফার ইশতেহার তুলে ধরেছেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে জাতীয় পুরুষ নারী দলের  বেতন কাঠামো। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের ইনস্যুরেন্সের ব্যবস্থা। দায়িত্ব নেয়ার ছয় মাসের মধ্যেই আধুনিক জিমনেসিয়াম নির্মাণ প্রকল্পে হাত দেয়া হবে বলে উল্লেখ রয়েছে তার ইশতেহারে।

সাংবাদিকদের -এমন প্রশ্নের উত্তরে মানিক বলেন, ‘কাউন্সিলরদের প্রতি আমার আস্থা আছে। তারা টাকার কাছে বিক্রি হবেন না। আমার সঙ্গে প্রায় ১০০ জন কাউন্সিলরের কথা হয়েছে। সেখানে ২০ জনও বর্তমান সভাপতি সালাউদ্দিনের পক্ষে নেই। আমি আশাবাদী নির্বাচনে কাউন্সিলররা আমাকে ভোট দেবেন।

বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা নেই তার। ২০৩৩ সালের মধ্যে একটি শক্তিশালী অলিম্পিক দল (অনূর্ধ্ব-২৩) গঠন করতে চান তিনি। যারা আগামীতে বৈশ্বিক আসরগুলোতে দেশের প্রতিনিধিত্ব করবে। স্বপ্ন দেখাতে চান না মানিক। যা করতে পারবেন, যা করা সম্ভব সেগুলোই করে দেখাতে চান। ভিশন ২০৩৩- এর ব্যাখ্যায় মানিক বলেন, অক্টোবর নির্বাচন; আমার ব্যালট নম্বর ৩। সাল ২০২০। সব মিলে ভিশন-২০৩৩।

ইশতেহারে মানিক বলেন, বাংলাদেশের পুরুষ ্যাংকিং বর্তমানে-১৮৭। ১২ বছর আগে ্যাংকিং যেখানে ছিল সেখানে ফিরে যাওয়া বা তার চেয়েও উন্নতি করার লক্ষ্যে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। নারী ফুটবলে জাতীয় দলের পারফরমেন্স (বয়সভিত্তিক দল ছাড়া) খুব একটা ভালো অবস্থায় নেই। জাতীয় দলের পারফরমেন্স উন্নতির প্রয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করা হবে। এই ব্যাপারে নারী সংগঠকদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখা হবে।

ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হলে ১১ সদস্যের বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটি থাকবে শফিকুল ইসলাম মানিকের। ফুটবলের উন্নয়নে গ্রাসরুট লেভেলে উন্নতি ঘটাতে একটি সাত সদস্যের রিসার্চ সেল থাকবে যেখানে জাতীয় কোচ, ডাক্তার, সাইকোলোজিস্ট, পুষ্টিবিদ, বায়োকেমিস্ট, ফিজিওলজিস্ট আইটি বিশেষজ্ঞগণ থাকবেন বলে জানান তিনি।

মানিকের ইশতেহারে উল্লেখ আছে, জাতীয় পর্যায়ে অনূর্ধ্ব-১৭ বঙ্গবন্ধু কাপ প্রতি বছর আয়োজন করা হবে। অনূর্ধ্ব ২১ জাতীয় ফুটবল যার নামকরণ লেফট্যানেন্ট শেখ জামাল অনূর্ধ্ব ২১ জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতা এবং যথারীতি অনূর্ধ্ব ১৯ সোহরাওয়ার্দী কাপ জাতীয় ফুটবল আন্তঃ জেলা শেরে বাংলা কাপ জাতীয় ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টকে আরও আকর্ষণীয় করার লক্ষ্যে প্রতি দু্ই বছর পর পর আয়োজন করা হবে। প্রতিবছর আয়োজন করা হবে শেখ জামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ। বাৎসরিক ক্যালেন্ডারে দু্টি টুর্নামেন্টই অন্তর্ভুক্ত করা হবে।