আন্তর্জাতিক ডেস্ক
টানা তৃতীয় দিনের মতো চলছে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার রক্তক্ষয়ী সংঘাত। উভয় দেশের সেনারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। এ পর্যন্ত নারী ও শিশুসহ অন্তত ৯৫ জন নিহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে ১১ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।
উভয় পক্ষকে যুদ্ধ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, আর্মেনিয়াকে অবশ্যই আজারবাইজান ছাড়তে হবে। এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আর্মেনিয়া আহ্বান জানিয়েছে এ সংঘাত থেকে যেন তুরস্ক দূরে থাকে।
উল্লেখ্য, কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড। কিন্তু আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছে। মূলত এ নিয়েই সংঘাতের সূত্রপাত। এরই প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশ।
প্রসঙ্গত, কারাবাখ অঞ্চলে ১৯৮০-এর দশকের শেষদিকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে ১৯৯১ সালে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুই পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে নিহত হন ৩০ হাজার মানুষ।
সর্বশেষ ২০১৬ সালে নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে বড় ধরনের সংঘাতে জড়িয়েছিল আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া।