নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্বের ৩০টি দেশের কবি-লেখক-সাহিত্যিক-শিল্পীদের অংশগ্রহণে এবং বিদেশে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর চেতনা ছড়িয়ে দেয়ার প্রত্যয় ঘোষণা করে নিউইয়র্কে ১০ দিনব্যাপী প্রথম বাংলা ভার্চুয়াল বইমেলা শেষ হয়েছে।
কোভিড-১৯ এর ফলে সারা পৃথিবী যখন দিশাহীন, মানুষের প্রাত্যহিক জীবন যাপন যখন ব্যাহত তখন মুক্তধারা ফাউন্ডেশন ভার্চুয়ালি জাতির জনকের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করে পৃথিবীর সকল বাঙালিকে জাতির জনককে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর সুযোগ করে দেয়। ১৮-১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনব্যাপী বইমেলার বিভিন্ন সেমিনারে বক্তাদের বক্তব্যের মূল সুর ছিল উপরোক্ত কথাগুলো।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক আব্দুল গাফফার চৌধুরী, প্রবীণ রাজনীতিবিদ তোফায়েল আহমেদ, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ, কবি নির্মলেন্দু গুণ, সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, কবি কামাল চৌধুরী, কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, সাংবাদিক জাফর ওয়াজেদ এবং সাহিত্যিক-সাংবাদিক আনিসুল হকসহ বরেণ্য ব্যক্তিরা বইমেলার ১০দিন বিভিন্ন পর্বে অংশগ্রহণ করেন। বইমেলার শেষ দিন ২৯তম নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলায় মুক্তধারা-জিএফবি সাহিত্য সম্মাননা প্রদান করা হয় কথাসাহিত্যক সেলিনা হোসেনকে। এছাড়া এ বছর থেকে শুরু হওয়া কবি শহীদ কাদরী স্মৃতি সম্মাননা বছরের সেরা বই পুরস্কার পেয়েছেন যৌথভাবে গান আর গানের মানুষ বইয়ের জন্য গীতিকার-সাংবাদিক-লেখক জীবন চৌধুরী ও স্বল্প কথার মানুষ গ্রন্থের জন্য লেখক ড. সেলিম জাহান।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের কার্যকরী কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৭ সেপ্টেম্বর সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের বইমেলার আহ্বায়ক ডা. জিয়াউদ্দীন আহেমেদ ২০২১ সালের আহ্বায়ক ড. নূরন নবীর নাম ঘোষণা করেন।
আগামী বছর নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার ৩০ বছর এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। তাই ২০২১ সাল মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কমিটি। উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে মুক্তধারা ফাউন্ডেশন প্রবাসে বেড়ে ওঠা শিশু-কিাশোরদের পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শিশু-কিশোর মেলা করে আসছে। তেমনি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একই বছর থেকে লাগাতার স্বাধীনতা প্যারেড করে আসছে গত ৫ বছর ধরে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে ২৯তম নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার উদ্বোধন করেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী বছর নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে মেলার শেষ দিন ঘোষণা করা হয়।
নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার আরেকটি বিশেষত্ব ছিল ভার্চুয়ালি সারা পৃথিবী থেকে বাংলা বই ক্রয় করার সুযোগ। এই মেলা উপলক্ষে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে ২১টি স্টল ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৪টি স্টল যোগ দেয়। লেখক-পাঠক ও প্রকাশনা সংস্থারগুলোর অনুরোধে নিউইয়র্ক বাংলা বইমেলার বই বিক্রয়ের সময় ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি।
