দাবা খেলার উন্নয়ন ও প্রসারের জন্য স্থায়ী জায়গার ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। খুব দ্রুতই স্থায়ী জায়গা পাবে বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশন। আজ রোববার জয়তু শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এমনটাই জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছে ‘জয়তু শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অনলাইন দাবা প্রতিযোগিতা-২০২০’। ১৭ জন গ্র্যান্ডমাস্টারসহ মোট ৭৪ জন দাবাড়ু এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। আজ চ্যাম্পিয়নদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার মাধ্যমে শেষ হলো টুর্নামেন্টটির এবারের আসর।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। বিশেষ অতিথি ছিলেন এশিয়ান দাবা ফেডারেশনের সভাপতি শেখ সুলতান বিন খলিফা আল নাহিয়ান, বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের সভাপতি ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফাত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আমরা এই করোনার সময়ের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। তার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যেভাবে এ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে এখন পর্যন্ত সক্ষম হয়েছি তা বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
ক্রীড়া ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর অবদান তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ক্রীড়ার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসা অতুলনীয়। ক্রীড়া নিয়ে যখন কথা হয় অনেকে অবাক হন যে, তিনি এত সময় ফোনে আলোচনা করেন। তাঁর নেতৃত্বে জেলা ও বিভাগীয় স্টেডিয়ামের পর উপজেলা পর্যায়ে ১২৫টি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে পেরেছি। এই অর্থ বছরে আরো ১৮৬টি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে যাচ্ছি। প্রতিটি জেলা পর্যায়ে জিমন্যাশিয়াম কাম ইনডোর স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি। খেলোয়াড়দের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য সুইমিংপুল নির্মাণ করে দিচ্ছি।’
এরপর দাবা খেলার উন্নয়নে স্থায়ী জায়গা দেওয়ার ঘোষণা দেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী, ‘দাবায় উপমহাদেশে প্রথম গ্র্যান্ডমাস্টার আমাদের সন্তান। অনেক দেশ যখন কল্পনাও করতে পারেনি, তখন আমরাই এই অঞ্চলে প্রথম অর্জন করতে পেরেছি। এটিকে ধরে রাখতে হবে।
পার্শ্ববর্তী অনেক দেশ যারা পিছিয়ে ছিল, তারা অনেক এগিয়ে গেছে। আমরা কিন্তু সেভাবে এগুতে পারিনি। আমি বিশ্বাস করি, সেদিন বেশি দূরে নয় যখন বাংলাদেশ কেবল উপমহাদেশেই নয়, বিশ্ব দরবারেও দাবায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে ইনশা আল্লাহ। এর জন্য একটি জায়গা ঠিক করার চেষ্টা করছি।
অনুষ্ঠানে ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘এই ইভেন্ট আমাদের খেলাধুলার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। করোনাকালে আমরাই প্রথম এত বড় একটি ইভেন্ট করতে পেরেছি। এর জন্য আমাদের আয়োজকদের অনেক ধন্যবাদ। সব খেলোয়াড়কে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আজকে ঘোষণা করতে চাই, এই টুর্নামেন্ট আমরা প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে প্রতিবছর আয়োজন করব। একটি গ্র্যান্ডমাস্টার টুর্নামেন্ট হিসেবে এই টুর্নামেন্ট প্রতিবছর হবে।’