জাতীয় ২৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০২:৩২

মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌ ধর্মঘট শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট।।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত থেকে দেশের কোনো লঞ্চঘাট বা নৌবন্দর হতে কোনো ধরনের নৌযান যাত্রা করবে না। ধর্মঘটটি অনির্দিষ্টকালের জন্য শুরু হবে। নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

খাবার ভাতা ও নিয়োগপত্র দেওয়াসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।

শাহ আলম বলেন, আজ রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে আমরা ধর্মঘটে যাচ্ছি। এতে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের ৪৩টি নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের এ ১১ দফা দাবি দীর্ঘ দিনের। লঞ্চ মালিকদের থেকে শুধু আশ্বাসই পেয়েছি, তারা আমাদের দেওয়া কোনো কথা রাখেননি। সরকার পক্ষের সঙ্গে গত বুধবারও বৈঠক হয়েছে, তারাও আশ্বাসই দিলেন, বাস্তবায়নের কোনো কিছু দেখছি না। তাই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে যাওয়ার পক্ষে শ্রমিকদের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

তিনি বলেন, এর আগেও ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়, তখন আন্দোলন করেছি। মালিকপক্ষ আমাদের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার কথা জানান। কিন্তু আজ পর্যন্ত একটি দাবিও বাস্তবায়ন হয়নি।

অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহন সংস্থার এক সদস্য বলেন, ২০১৬ সালে শ্রমিকদের মূল দাবি-দাওয়া মানা হয়। তখন শ্রমিকদের সঙ্গে লঞ্চ মালিকপক্ষের ৫ বছরের চুক্তি হয়। ২০২১ সালে সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে। তাই নৌযান শ্রমিকদের এ ধর্মঘট অযৌক্তিক।

চুক্তির বিষয়ে শাহ আলম বলেন, ২০১৬ সালে ১৫টি দাবি ছিল। এর মধ্যে শুধু বেতন স্কেল ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ হয়। বাকি ১৪ দাবি আজও পূরণ হয়নি, তাই এ ধর্মঘট যৌক্তিক।

নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটকে যৌক্তিক উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন ও সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল। তারা বলেন, নিয়মতান্ত্রিকভাবে দাবি আদায় হয়নি। তাই শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে নৌ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন।

রাত ১২টা ১ মিনিটে ধর্মঘট শুরুর আগেই শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়ার জন্য মালিকপক্ষ ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান এ দুই শ্রমিক নেতা।