অপরাধ ও দুর্নীতি ২৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০৪:৩৯

হোলি আর্টিজান হামলার রায়: মিশ্র প্রতিক্রিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সাত জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড দেয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্বজন ও স্থানীয়রা। রায়ে অনেকেই সন্তোষ জানালেও  অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না তাদের জঙ্গি সম্পৃক্ততা।

রাজশাহীর বাগমারার জঙ্গি নেতা শরিফুল ইসলাম খালেদ পরিবার ও এলাকার সম্মান নষ্ট করেছেন বলে মনে করেন তার ভাই খাইরুল ইসলাম। তিনি মনে করেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এই ধর্মে এসব জঙ্গিদের স্থান হতে পারে না। তিনি আরও জানান, শরিফুল ইসলাম ছিলেন পরিবার থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন।

শরিফুল ইসলাম খালেদের ভাই খাইরুল ইসলাম আরও জানান, 'তার কোন আচরণ থেকে বুঝতেই পারিনি সে এমন করতে পারিনি। টাকা নিয়ে গেল পাসপোর্ট-ভিসা করার জন্য।'

জঙ্গি আসলাম হোসেন সরদার রাসেলের মৃত্যুদণ্ডের রায়ে খুশি রাজশাহীর পবা উপজেলার সাধারণ মানুষ। তারা বলেন,  'রাজশাহীতে জঙ্গাবাদের কোন স্থান আমরা চাই না। এটা শেকড় থেকে নির্মূল হয়ে যাক। বিচারের রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।'

বগুড়ার সদর উপজেলার ছেলে রাকিবুল হাসান রিগ্যান। এছাড়া, নন্দিগ্রাম উপজেলার মামুনুর রশিদ রিপন। তাদেরকে নিজ এলাকায় ভালো ছেলে হিসেবে জানতো সবাই। তাই জঙ্গি কিংবা এইএস এর সাথে সম্পৃক্ততা মেনে নিতে পারছেন না স্বজন ও এলাকাবাসি। এলাকাবাসি জানান, 'সে কি করছে না করছে জানি না। আমার জানা মতে এমন কিছু দেখিনি। ভালো একটা ছেলে ফাঁসির রায় হয়ে গেছে শুনে খারাপ লাগছে। খুব ভালো, ভদ্র, চরিত্রবান, আদর্শ ছেলে ছিল।'

মৃত্যুদন্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে জয়পুরহাটের সদর উপজেলার হাসিসুর রহমান সাগর একজন। শান্ত স্বভাবেরর হলেও এক সময় জড়িয়ে পড়ে জঙ্গি সংগঠনে। এমন অমানবিক ও পৈশাচিক হত্যাকাণ্ড অবশ্যই শাস্তিযোগ্য বলে মনে করেন সাগরের মা। আছিয়া বেগম বলেন, 'আমার ছেলে যদি অপরাধী হয় তবে তার সাজা হোক। তবে সে অপরাধী না হলে তার মুক্তি চাই।'

তার জঙ্গি সম্পৃক্ততায় অসন্তোষ জানিয়েছে এলাকাবাসী। তারা বলেন, 'গ্রামের মানুষের সাথে কোন খারাপ ব্যবহার করতে আমার দেখিনি। ছেলে ভালো তবে সেখানে কি করেছে আমরা জানি না।'

এদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের মিজানুর রহমান কে খালাশ দেয়ায় সন্তোষ জানিয়েছে তার পরিবার। তারা বলেন, 'রায় শুনে সন্তুষ্ট হয়েছি। সন্দেহ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সে এ কাজে জড়িত ছিল না।'