সারাদেশ ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০৮:২৬

নববধূকে নিয়ে দুই স্বামীর মধ্যে মারামারির

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক নববধূকে নিয়ে দুই স্বামীর মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় জনতা ঘটনাস্থল থেকে নববধূসহ স্বামী দাবিদার দুই যুবককে ধরে থানায় সোপর্দ করেছে।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

নববধূর নাম রুমানা খাতুন (১৮)। তিনি উপজেলার হেউটনগর গ্রামের আফিজার রহমানের মেয়ে।
এছাড়া স্বামী দাবিদার দুই যুবকের মধ্যে উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের নবিনগর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে জুয়েল রানা (২৬) ও একই এলাকার বিলচাপড়ি গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে কাজল মিয়া (২২)।

স্থানীয় সূত্রে জানা, প্রায় দুই মাস আগে জুয়েল রানার সঙ্গে পারিবারিক সম্মতিতে রুমানা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর এক মাস ঘর-সংসার করে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন রুমানা। এরপর আর স্বামীর বাড়িতে ফিরে যাননি তিনি। তবে রুমানাকে বাড়িতে নেওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন জুয়েল রানা।

এ অবস্থায় শুক্রবার বিকালের দিকে রুমানাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে কাজল মিয়ার হাত ধরে বেড়াতে দেখে জুয়েল রানা। এসময় রুমানাকে স্ত্রী দাবি করে কাজলকে মারধর করেন জুয়েল। তখন কাজলও পাল্টা জুয়েলকে মারধর করেন। এ বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে আসলে তাদের আটক করে থানায় সোপর্দ করে।

এ বিষয়ে নববধূ রুমানা খাতুন বলেন, মা-বাবা আমার অমতে প্রায় ২ মাস আগে জুয়েলের সঙ্গে আমাকে বিয়ে দেয়। কিন্তু জুয়েলকে পছন্দ না হওয়ায় এক মাস আগে আমি একাই কাজলকে বিয়ে করেছি। তবে জুয়েল রানার সঙ্গে আমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি। তারপরও আমি কাজলের সঙ্গে ঘর সংসার করতে চাই।

এ বিষয়ে জুয়েল রানা ও কাজল মিয়া জানান, রুমানা খাতুন যে কথা বলেছে সেটাই সঠিক। তবে দুই যুবকই রুমানাকে স্ত্রী দাবি করেন এবং দুই যুবকই রুমানাকে নিয়ে ঘর সংসার করতে আগ্রহী।

বগুড়ার ধুনট থানার ডিউটি অফিসার উপ-সহকারী পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল জাব্বার বলেন, এক নারী ও দুই যুবককে থানা হেফাজত রাখা হয়েছে। তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।