সারাদেশ ২৩ নভেম্বর, ২০১৯ ০৫:০৪

চিলমারীতে ধার করা শিক্ষার্থী দিয়ে ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ।।

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসার ধার করা শিক্ষার্থী দিয়ে চলমান ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজসে এসব ইবতেদায়ী মাদ্রাসা এমপিও প্রাপ্তীর প্রত্যাশায় ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে কেন্দ্রে পাঠাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

চিলমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় উপজেলার ০৬টি কেন্দ্রে ডিয়ারভূক্ত ১৩১টি বিদ্যালয়ের ২ হাজার ৭৬৮ জন এবং ৩০টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ৪৮৮ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। এর মধ্যে প্রাথমিকে ১৬৬জন ও ইবতেদায়ীতে ৫৫জন অনুপস্থিত রয়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার কয়ারপাড় বীরবিক্রম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে দেখা যায় বালাবাড়ী হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণীতে পড়ুয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীকে। তারা বড় ভিটা সিদ্দিকিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে।

এসময় চর উদনা আতিক স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মোঃ মাহিন মিয়া রোল-১৮৯ এর সাথে কথা হলে সে অত্র মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র বলে জানায়। মোঃ রোকনুজ্জামান রোল-১৯৯, মোছাঃ শাহানাজ আকতার রোল-২০৯, মোছাঃ লায়লাতুল লুসা আকতার রোল-২১০ সহ ১০-১২জন পরীক্ষার্থী বালাবাড়ীহাট বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মর্মে নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্র ঘুরে অসম বয়সের শ্ক্ষিার্থীদের ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দিতে দেখা যায়। 

এব্যাপারে বালাবাড়ীহাট বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল ফরিদ বলেন, গত ১৭ নভেম্বর থেকে ৯ম শ্রেণীর ২জন, ৭ম শ্রেণীর ৬জন, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ৩-৪জন শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছে। তিনি খোজ নিয়ে জেনেছেন ওই শিক্ষার্থীরা ইবতেদায়ী মাদ্রাসার হয়ে সমাপনী পরীক্ষা দিচ্ছে।

বড় ভিটা সিদ্দিকিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মোছাঃ নুর জাহান বেগম সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বালাবাড়ীহাট বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত থাকার কথা স্বীকার করে  জানান, ওই শিক্ষার্থীরা আরবী শিখতে আমার মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে এবং সমাপনী পরীক্ষা দিচ্ছে। 

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু সালেহ সরকার এর সাথে একাধিকবার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ বলেন, বিষয়টি আমার কর্ণগোছর হয়েছে, তদন্ত করার জন্য শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছি।