খেলাধুলা ২২ নভেম্বর, ২০১৯ ১১:২৭

টাইগারদের গোলাপি রোমাঞ্চ কুয়াশা পড়ার আগেই শেষ

স্পোর্টস ডেস্ক।।

ভারতের বিপক্ষে ঐতিহাসিক দিবা-রাত্রি টেস্টে ব্যাটিং বিপর্যয়ে অল্প রানেই গুটিয়ে যায় সফরকারী বাংলাদেশ। গোলাপি বলের বিপক্ষে যেন চোখেই দেখছে না টাইগার ব্যাটসম্যানরা। টপ অর্ডারের চরম ব্যর্থতার দিন মিডল অর্ডারও পুরোপুরি ফ্লপ। এর মধ্যে লজ্জাকরভাবে আউট মুমিনুল, মিঠুন ও মুশফিক। টসে জিতে টাইগারদের হয়ে উদ্বোধনী জুটিতে ব্যাট করতে নামেন ইমরুল কায়েস এবং সাদমান ইসলাম। 

বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসের সপ্তম ওভারের প্রথম ইমরুলের বিরুদ্ধে বলে কট বিহাইন্ডের আবেদন করেন বোলার ইশান্ত শর্মা। আম্পায়ার আউট দিলে সরাসরি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন ইমরুল। রিভিউতে দেখা যায় বল ইমরুলের ব্যাট নয় ছুঁয়েছে থাই প্যাড। এ যাত্রায় তাই রক্ষা পান  চার রানে ব্যাট করতে থাকা ইমরুল। তবে এই ওভারেরই তৃতীয় বলে এলবি'র আবেদন ভারতের। এবারেও আঙুল তুলে আউট বলে দিলেন আম্পায়ার। এবারেও রিভিউ নিলেন ইমরুল। তবে এবার আর রক্ষা পাননি। ইশান্তের বলে চার রান করে দলীয় মাত্র ১৫ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ইমরুলকে।

পরের ওভারে আরও ভয়ংকর হয়ে আসে ভারতীয় পেসাররা। বলে তুলে নেন মোহাম্মদ শামি তাকে খেলছেন সাদমান। ওভারের দ্বিতীয় বলে আবারও কট বিহাইন্ডের আবেদন ভারতের। তবে এবার অনড় আম্পায়ার আউট নন বলে! বাধ্য হয়ে রিভিউ নিলেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। রিভিউতে দেখা মিলল বল ছুঁয়ে গেছে থাই প্যাডে। আর তাতেই ১০ রানে ব্যাট করতে থাকা সাদমান বেঁচে যান।

ইনিংসের ১১তম ওভারের প্রথম বলে উমেষ যাদবের বলে রানের খাতা না খুলেই ফিরে যান টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। স্লিপে দাঁড়ানো রোহিত শর্মা দারণ এক ক্যাচ নেন। এরপর উইকেটে আসেন মোহাম্মদ মিঠুন। ওই ওভারেরই তৃতীয় বলে হাঁটেন অধিনায়কের দেখানো পথে। মিঠুনও আউট হন শূন্য রানে।

এক ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে টাইগার শিবির। উইকেটে আসেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। তবে হতাশ করলেন দলের সেরা এবং সব থেকে অভিজ্ঞ মুশফিকও। ১২তম ওভারের পঞ্চম বলে মোহাম্মদ শামির বলে বোল্ড হয়ে শূন্যতেই ফেরেন মুশি। আর দলীয় সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৭ রান।

মাত্র ১৭ রানে চার উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে তখন সাদমানের ব্যাটে ভর করে কিছুটা স্বপ্ন বুনছিল টাইগার সমর্থকরা। তবে ইনিংসের ১৫তম ওভারে উমেষ যাদবের তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন সাদমানও। ব্যক্তিগত ২৯ রানে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান এই ওপেনার। সাদমান যখন ফিরে যান দলীয় রান তখন ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৮। বাদ যাননি মাহমুদউল্লাহও। ব্যক্তিগত ৬ রানে দলকে অকূল দরিয়াতে ফেলে সাজঘরে ফেরেন ইশান্ত শর্মার শিকার হয়ে।

দলের হাল কিছুটা ধরার চেষ্টা করছিলেন লিটন দাস। কিন্তু ম্যাচের ২১.৪  ওভারে মাথায় আঘাত পান এই ব্যাটসম্যান। ফলে ব্যক্তিগত ২৪ রানে মাঠ ছেড়ে উঠে যেতে হয় তাকে। লাঞ্চ থেকে ফিরেই নিজের উইকেট বিসর্জন দিয়ে সাজঘরে ফেরেন এবাদত। ইশান্ত শর্মার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

এরপর উইকেটে আসেন লিটন দাসের বদলি হিসেবে মেহেদী মিরাজ। বাংলাদেশের মূল একাদশে না থেকেও লিটন দাসের বদলি হিসেবে নামেন তিনি। তবে হতাশ করলেন তিনিও। ব্যক্তিগত ৮ রানে ইশান্ত শর্মার বলে পূজারার তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান।

উইকেট আগলে রাখতে ব্যর্থ হন নাইম হাসানও। ১৭ রানে তাকে ফেরত পাঠান ইশান্ত শর্মা। এরপর মোহাম্মদ সামি তার দ্বিতীয় শিকার হিসেবে রাহীকে বেছে নিলে বভাংলাদেশের ১ম ইনিংস থামে ১০৬ রানে। ভারতের হয়ে ৫ উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা, ৩ উইকেট নেন উমেষ যাদব এবং দুইটি উইকেট নেন ইশান্ত শর্মা।