সারাদেশ ২২ নভেম্বর, ২০১৯ ০৪:১৫

বখাটের ভয়ে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে পরিবার

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

ভোলার তজুমদ্দিনে বখাটের ভয়ে জেএসসি পরীক্ষার্থীকে নিয়ে বাড়ি-ঘরে ছেড়ে গত ২২ দিন ধরে পালিয়ে বেড়াচ্ছে পরিবার। ওই ছাত্রীকে বাড়িতে না পেয়ে ছাত্রীর স্বজনদের দফায় দফায় হামলা ও মারধর করেছে বখাটে এবং তার সহযোগীরা। হামলায় মো. মঞ্জু (২৪) নামে ওই ছাত্রীর চাচা আহত হয়ে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

ওই ছাত্রী উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কাজিকান্দি গ্রামের রাজমিস্ত্রী আ. মতিনের মেয়ে ও তজুমদ্দিন ফজিলাতুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের জেএসসি পরীক্ষার্থী। বখাটে রাকিবও (২২) একই গ্রামের মো. সেলিমের ছেলে।

এদিকে ঘটনায় তজুমদ্দিন থানা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে জনমতের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ঘটনার ২২ দিনেও বখাটে রাকিবকে পুলিশ কেন গ্রেফতার করেনি এ নিয়ে পুরো উপজেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

ছাত্রীর বাবা আ. মতিন জানান, গত দুই মাস ধরে বখাটে রাকিব মেয়েকে স্কুল যাওয়া-আসার পথে উত্যক্ত করছে। বিষয়টি বখাটে রাকিবের অভিভাবকে জানালে কোনো লাভ হয়নি। পরে গত ৩০ অক্টোবর তজুমদ্দিন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি। এতে রাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে বাড়িতে গিয়ে আমাকে, আমার বাবা রুহুল আমিন, বোন জ্যোসনা, ভাই সেলিম ও মঞ্জুকে পিটিয়ে আহত করে জোর করে মেয়েকে তুলে নিয়ে বিয়ের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় ৩১ অক্টোবর আমি ও আমার স্ত্রী মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে তজুমদ্দিন বাজার এলাকায় একটি বাড়িতে আশ্রয় নেই। পরে সেখান থেকে মেয়ে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।

তিনি আরও জানান, বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার খবরে বখাটে রাকিব প্রতিনিয়ত আমাদের স্বজনকে তার হাতে মেয়েকে তুলে দিতে হুমকী দিচ্ছে। বুধবার (২০ নভেম্বর) রাতেও রাকিব দলবলসহ আমার বাড়িতে গিয়ে ছোট ভাই মঞ্জুরকে রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইসমাইল চৌধুরী জানান, আমি ওই ছেলের বাবাকে আগেই সতর্ক করেছি। কিন্তু শুনেনি।

তজুমদ্দিন থানার ওসি ফারুক আহম্মদ জানান, ছাত্রীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। কিন্তু আমরা ওই ছেলেকে খুঁজে পাইনি। তবে বুধবারের মারধরের ঘটনায় মহিউদ্দিন নামে এক যুবককে আটক করেছি।