কৃষি ১৬ নভেম্বর, ২০১৯ ০২:২৯

১ কেজি পেঁয়াজের দামে পাওয়া যাচ্ছে ৫ কেজি চাল!

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। বাজারে এক কেজি ভালো মানের চালের মূল্য ৪৫ টাকা। এখন ৫ কেজি চালের দামের সমান দামে কিনতে হচ্ছে এক কেজি পেঁয়াজ। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) পেঁয়াজের দাম ঠেকেছে ২২০ টাকায়।

যশোরের অভয়নগরে এই দামেই বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজ কিনতে আসা বুইকরা গ্রামের তৌফিক ইসলাম বলেন, একদিন আগেই ১৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি, আজ হঠাৎ ২২০ টাকা হওয়ায় আমার পেঁয়াজ কেনা সম্ভব হয়নি।

নওয়াপাড়া বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী ফরিদ সরদার জানান, পাইকারি মোকামে পেঁয়াজের দাম বেশি হওয়ায়, পেঁয়াজ কেনা সম্ভব হয়নি।

অন্যদিকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পেঁয়াজের ঝাঁজে অস্থির হয়ে উঠেছে ক্রেতারা। একদিনের ব্যবধানে প্রতিকেজিতে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার মির্জাপুর বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। একই বাজরে প্রতিকেজি চাল বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। এ অবস্থায় ১ কেজি পেঁয়াজের দামে ৫ কেজি চাল পাওয়া যাচ্ছে। দিন দিন পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেলেও নজরদারি নেই স্থানীয় প্রশাসনের।

গত দুই মাস যাবৎ মির্জাপুর বাজারে পেঁয়াজের দাম লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মির্জাপুর বাজারে ইচ্ছেমতো পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণ করা হয়। সে জন্য পেঁয়াজের মূল্য কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। তা ছাড়া মির্জাপুর বাজারে গড়ে ওঠা সিন্ডিকেটের সদস্যরা দেওহাটা ও জামুর্কী বাজারের পেয়াজের মহাজনদের মির্জাপুর বাজারে আসতে দিচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত সোমবার মির্জাপুর বাজারে পেঁয়াজের মূল্য ছিল প্রতিকেজি ১৩০ টাকা। একরাতের ব্যবধানে ২০ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে মঙ্গলবার তা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা দরে। পেঁয়াজের দামের এই ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন আয়ের লোকজন চালের দামের সাথে তুলনা করছেন। তারা বলছেন ১ কেজি পেঁয়াজের দামে এখন ৫ কেজি চাল পাওয়া যাচ্ছে।

ভুক্তভোগী ক্রেতারা বলছেন, প্রশাসনের নজরদারি থাকলে বাজরে সিন্ডিকেট কোনো সুবিধা করতে পারবে না। তারা পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল মালেকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মঈনুল হককে বাজারে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।