ডেস্ক রিপোর্ট।।
অনলাইন পর্নোগ্রাফি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছেন ভারতীয় এক নারী। স্বামীর তীব্র পর্ন আসক্তি নিয়ে দেশটির সুপ্রিম কোটের্র দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। এর ফলে নিজেদের বৈবাহিক সম্পর্ক ছিন্নের দাবিও করের ২৭ বছর বয়সী ওই নারী।
ভারতের মুম্বাইয়ের অধিবাসী ঐ নারী তার স্বামীর এই আসক্তির জন্য পর্নোগ্রাফিক সাইটগুলোকে দোষারোপ করেন। এর ফলে তাদের দাম্পত্য জীবন ‘শেষ’ হয়ে যাচ্ছে দাবি তার।
তিনি বলেন, এই অভ্যাসের কারণে তার ৩৫ বছর বয়সী এত বেশি ‘বিকৃত মানসিকতার’ হয়ে গেছেন যে তিনি তার দৈনন্দিন জীবনের সব কাজকর্ম এড়িয়ে যাওয়া শুরু করেছেন। এমনকি স্ত্রীর শারিরীক বা মানসিক চাহিদা মেটাতে গিয়েও স্বামীর আচরণ একই রকম থাকছে। স্বামী নিজেই স্ত্রীকে বিবাহ বিচ্ছেদে জোর করছেন, এমনকি ইতোমধ্যে এক পারিবারিক আদালতের শরণাপন্নও হয়েছেন বলে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
আইনজীবী কাবমেশ ভাসওয়ানি’র মাধ্যমে আদালতে পর্নোগ্রাফিক সাইট বন্ধের দাবি জানান তিনি। আদালতে দাখিল করা নথিতে ওই নারী বলেন, “আমার স্বামী পর্নে আসক্ত পড়েছেন আর নিজের অনেক মূল্যবান সময় পর্ন দেখে নষ্ট করছেন।এর ফলে তার পুরুষত্ব ও শক্তি কমে গেছে আর এ কারণে তিনি স্বভাবিক যৌন সম্পর্কও করতে পারছেন না।
এছাড়াও, মাঝেমধ্যে আমার স্বামী আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমাকে অস্বাভাবিক মৌখিক যৌনতায় অংশ নিতে বাধ্য করেন। এ ধরনের অস্বাভাবিক আচরণ প্রদর্শনের মাধ্যমে তিনি আমার দাম্পত্য জীবন বরবাদ করে দিচ্ছেন।” স্বামী কিশোর বয়স থেকেই পর্ন আসক্ত ছিলেন বলে জানতে পারার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
২০১৭ সালে আরেক নারী আদালতের শরণাপন্ন হয়ে তার স্বামীর পর্ন আসক্তির কারণে তার দাম্পত্য জীবন শেষ হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। এছাড়াও নিজের বন্ধুদের পর্ন আসক্তির কথা জানিয়ে পর্ন সাইটগুলো বন্ধের দাবি জানিয়েছিলেন দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীও।
পাবলিক প্লেসে পর্নোগ্রাফিক কনটেন্ট দেখা নিষিদ্ধ করার সম্ভাবনা নিয়ে আগাচ্ছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সেইসঙ্গে একে অপরাধ হিসেবে বিবেচিত করা যায় কিনা তা নিয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে দেশটির সর্বোচ্চ আদালত।
এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, শুধু শিশু পর্নোগ্রাফিক সাইট বন্ধের ক্ষেত্রেই তাদের সমর্থন রয়েছে।