জাতীয় ৯ নভেম্বর, ২০১৯ ০১:১৭

আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া শুরু উপকূলবাসীর

ডেস্ক রিপোর্ট।।

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’-এর প্রভাবে মোংলা সমুদ্র বন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারির পরও বাগেরহাট ও বরগুনার উপকূলীয় উপজেলাগুলোর মানুষকে দুপুর পর্যন্ত আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে আগ্রহ দেখায়নি। তবে শনিবার (৯ নভেম্বর) বিকাল থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছেন তারা।

রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত সাড়ে ১২ হাজার লোক আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা বাড়ছে।

বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফকর উদ্দিন জানান, মোংলা বন্দরে অবস্থান করা দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে পশুর চ্যানেলে নিরাপদে সরিয়ে আনা হয়েছে। এছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে মোংলা বন্দরে জাহাজ আগমন ও নির্গমনও।  

বরগুনা সদর উপজেলার, পোটকাখালী, কেওড়াবুনিয়া, বুড়িরচর, নলটোনা, এম বালিয়াতলী, ডালভাঙা, নলী, মাঝেরচর ও গুলিশাখালী এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে- এসব এলাকার অধিকাংশ বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করেছেন। কেউ কেউ ঘর তালাবদ্ধ করে পরিবার পরিজন ও গবাদি পশু নিয়ে ছুটছেন। আবার অনেকে পৈত্রিক সম্পত্তি ও ঘর ছেড়ে যেতে চাইছেন না আশ্রয়কেন্দ্রে।

বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী এলাকার বাসিন্দা কামাল বলেন, ‘যে পরিস্থিতি তাতে মনে হয় সিডরের মতো অবস্থা হবে। সিডরের সময় এইরকম অবস্থা হয়েছিল। তখন আমরা আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে অনেক ভুল করেছিলাম, এবার আর সেই ভুল করতে চাই না।’

সদর উপজেলার নলী এলাকার সাহিদা নামের এক গৃহবধূ জানান, ‘ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানবে শুনেছি। মাইকিংও করা হয়েছে কিন্তু সাইক্লোন শেল্টারে যে যাবো, সেই অবস্থা নেই। সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে নারী ও শিশুদের জন্য কোনও সুব্যবস্থাই রাখা নেই।’  

এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ বলেন, ‘১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত চলছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যে যেভাবে যেখানেই থাকুক না কেন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সবাকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৫০৯টি আশ্রয় কেন্দ্র, ৪২টি মেডিক্যাল টিম, ৮টি জরুরি সেবা কেন্দ্র ও সিপিপি, রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।’