জাতীয় ৪ নভেম্বর, ২০১৯ ১০:৫৯

ড. কামাল হোসেনকে চাচ্ছে না শরিক দলগুলো 

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা হিসেবে ড. কামাল হোসেনকে চায় না শরিক দলগুলো। তারা স্পস্ট জানিয়ে দিয়েছে, ডক্টর কামালের ব্যর্থতায় ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলনের বদলে নীরবতার খোলসে ঢুকে আছে। তাই বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ দাবি আদায়ে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতার পরিবর্তন জরুরি বলে মত নেতাদের।

খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় এবং সাজার কারণে নির্বাচনে অংশ নিতে অযোগ্য হওয়ায় বিকল্প হিসেবে গত বছর অক্টোবরে ড. কামাল হোসেনকে সামনে আনে বিএনপি। ২০ দলীয় জোটের শরিকদের অমতে ড. কামালের নেতৃত্বে গঠিত হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। 

নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে যার সঙ্গে গাঁটছড়া সেই ড. কামাল হোসেনই নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ায় শুরুতেই তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জোট শরিকরা। নির্বাচন পরবর্তী সরকার বিরোধী আন্দোলন ও খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে ড. কামালের অবস্থান সেই প্রশ্নকে শক্ত ভিত দিয়েছে।

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বলেন, 'হয়তো উনার (ড. কামাল) বার্ধক্যজনিত কারণ হতে পারে। অথবা অন্য কোনো কারণে উনার ভূমিকা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে এবং উনাকে আমরা ইমাম মানছি। এখন ইমাম যদি ইমামতি করতে গিয়ে যদি ভুল-ত্রুটি করেন বা অলসতা দেখায় সে ক্ষাত্রে ভবিৎষতে আমরা পরিবর্তনের কথা ভাববো।'  

বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, 'যে আশা নিয়ে ঐক্যফ্রন্ট করা হয়েছিলো সে নেতৃত্ব কামাল হোসেন দিতে ব্যর্থ হয়েছেন।তাই এই মুহূর্তে আর ঐক্যজোটে থেকে তার নেতৃত্ব থাকার কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না।’ 

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শরিকরা বলছেন, সরকার বিরোধী আন্দোলন-নির্বাচন কিংবা খালেদা জিয়ার মুক্তি কোন ইস্যুতেই আর ড. কামালের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না তারা। 

নাগরিক ঐক্য'র আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, 'প্রিন্সিপাল ফিগার হিসেবে তিনি সামনে আছেন সেটা নিয়ে আমার আপত্তি নেই। কিন্তু আমরা যদি মনে করি তিনি আমাদের রাজপথে নেতৃত্ব দেবেন সেটা একেবারেই ভুল।'  

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, 'উনি একটা অ্যাক্টিভ রোল প্লে করুক। এর মানে ইস্যু গুলোকে উনি যেভাবে ফর্মুলেট করবেন, সেটা যেন মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। এখন সেটা পূরণ হোচ্ছে কি না প্রশ্ন করলে আমি বলবো- হচ্ছে না।'  

গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী অবশ্য বলছেন শরিকদের এসব অভিযোগ সত্য নয়। তার মতে, ড. কামালের কারণেই ঐক্যবদ্ধ আছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। তিনি বলেন, 'বিএনপি'র যারা আছেন তারা নেতৃত্ত দিচ্ছে। ড. কামাল হোসেনও দিচ্ছে, আব্দুর রবও নেতৃত্ব দিচ্ছে, মান্নাও নেতৃত্ব দিচ্ছে। আমাদের নেতৃত্ব নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তবে তার (ড. কামাল) যেহেতু বয়স হয়ে গেছে, তিনি রাজপথে নামতে না পারলেও যে কোনো পরিস্থিতিতে তিনি বক্তব্য দিয়ে যাবেন। সামনের কাতারে থেকে এ আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন।'