জাতীয় ২৬ অক্টোবর, ২০১৯ ০১:১১

বাংলাদেশি আরিফ জাপানের ‘বর্ষসেরা তরুণ বিজ্ঞানী’

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

বাংলাদেশি চিকিৎসক ডা. মো. আরিফ হোসেন এ বছর জাপানের সেরা তরুণ বিজ্ঞানী নির্বাচিত হয়েছেন। জাপানিজ সোসাইটি অব ইনহেরিটেড মেটাবলিক ডিজঅর্ডার্স লাইসোসোমাল ডিজিজেসের মেকানিজম এবং চিকিৎসা আবিষ্কারের জন্য ডা. মো. আরিফ হোসেনকে এ সম্মান দিয়েছে বলে জানিয়েছে একুশে টিভি।

সংস্থাটি প্রতিবছর সেরা জাপানিজ তরুণ বিজ্ঞানী নির্বাচন করে। স্থানীয় সময় গত ২৪ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার জাপানিজ সোসাইটি ফর ইনহেরিটেড মেটাবলিক ডিজিজের ৬১তম বার্ষিক সম্মেলনে আরিফের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।

জাপান মেডিকেল সায়েন্সের ইতিহাসে এটি একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। তাদের ৬১ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অ-জাপানির হাতে তুলে দেয়া হলো গৌরবময় এ পুরস্কারটি। 

মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পাওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ডা. আরিফ হোসেন বলেন, ‘আমি অনেক আনন্দিত। এটা আমার জন্য ও বাংলাদেশের জন্য একটি অবিস্মরণীয় ঘটনা।’

নিউরো-মেটাবলিক ডিসঅর্ডার সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘নিউরো-মেটাবলিক রোগ সাধারণত জেনেটিক কারণে হয়। তার মানে হলো, মায়ের পেট থেকে বাচ্চা জিন ডিফেক্ট নিয়ে বের হয়, পরবর্তীতে ব্রেন, লিভার, কিডনি, হার্টসহ নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘এই রোগীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়, কিন্তু এদের চিকিৎসা এবং গবেষণা খুব কম হয়েছে। তাই আমি সেটা নিয়ে কাজ করে আনন্দবোধ করি।’

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়ায় খুবই সাধারণ একটি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন আরিফ। ১১ ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। গ্রামের স্কুল থেকে এসএসপি সম্পন্ন করা আরিফ ঢাকার মিরপুর বাংলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেন। 

এরপর তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস ভর্তি হন। এমবিবিএস পাস করে একই প্রতিষ্ঠানে শিশু বিভাগে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন করেন আরিফ হোসেন। এরপর উচ্চতর শিক্ষার জন্য জাপান যান তিনি। সেখানকার ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করার পর শিশু নিউরো-মেটাবলিক রোগে ক্লিনিক্যাল ফেলোশিপও করেন আরিফ। 

নিউরো-মেটাবলিক রোগের ওপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে ওই রোগের বিশেষজ্ঞ হিসেবে বর্তমানে জাপানে সিনিয়র গবেষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন তিনি।