সোশ্যাল মিডিয়া ১৪ অক্টোবর, ২০১৯ ০৫:০৪

ছাত্রলীগ নেতার টাকা ফেরতের ঘটনা ভুল

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

চট্টগ্রামে গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদারী কাজ শেষে ছাত্রলীগ নেতার টাকা ফেরত দেয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও অনলাইনে টাকা ফেরত দেয়ার সংবাদ ভাইরাল হওয়ায়, সংবাদ কর্মীদের আরও সজাগ হওয়ার পরামর্শ সাংবাদিক নেতাদের।

চট্টগ্রামে গণপূর্ত বিভাগের ঠিকাদারী কাজ শেষে ছাত্রলীগ নেতার টাকা ফেরত দেয়ার কোনও ঘটনা ঘটেনি। গণপূর্তের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী জানান, টাকা ফেরত দেয়ার সুযোগই নেই। সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও অনলাইনে টাকা ফেরত দেয়ার সংবাদ ভাইরাল হওয়ায়, সংবাদ কর্মীদের আরও সজাগ হওয়ার পরামর্শ সাংবাদিক নেতাদের।

চট্টগ্রামে গণপূর্তের অধীনে ২০১৭ সালে 'বায়েজিদ সবুজ উদ্যান' পার্কের কাজ পান, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব। ডিপিপিতে এই প্রকল্পের বরাদ্দ ছিল ১২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। কিন্তু প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হয় ৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। বাকি টাকা মন্ত্রণালয় থেকে ছাড় হয়নি।

তবে বিভিন্ন অনলাইন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়- সাড়ে চার কোটি টাকা ফেরত দিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ বিষয়ে গণপূর্তের সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী জানান, ঠিকাদারের টাকা ফেরত দেয়ার প্রশ্নই আসে না। নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, 'ঠিকাদারের টাকা ফেরত দেবার প্রশ্নই আসে না। যার কথা বললেন তিনি কোন কন্টাকটার না। কন্টাকটারের টাকা ফেরত দেবার কোন সিস্টেম নাই। কারণ তাকে অতিরিক্ত টাকাই দেয়া হয় না।'

এদিকে, টাকা ফেরত দেয়া ও নিজের সততার কথা বলে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিলেও, এখন ভোল পাল্টিয়েছেন ছাত্রলীগের এই নেতা। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তৈয়ব জানান, 'টাকা ফেরত দিয়েছি এটা আমি বলি নাই। বলছি টাকা ফেরত গেছে এটার কৃতিত্ব হলো গণপূর্ত বিভাগের।'

ভুইফোঁড় অনলাইন নিয়ন্ত্রণ ও গণমাধ্যমকর্মীদের আরো সজাগ হওয়ার পরামর্শ সাংবাদিক নেতাদের। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের গ্রন্থাগার সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ বলেন, 'প্রত্যেক সাংবাদিকের উচিত দায়িত্বশীল হওয়া। নয়তো মিডিয়া জগতের প্রতি মানুষ আস্তে আস্তে আস্থা হারিয়ে ফেলবে। একটা ভূয়া নিউজ মর্যাদা পেয়ে যাচ্ছে।'

প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে সম্ভাব্য ব্যয়ের সব টাকা দেয়া হয় না বলে জানান, চট্টগ্রামের ঠিকাদাররা।