ডেস্ক রিপোর্ট।।
আজ রোববার (৬ অক্টোবর) ভোরে গ্রেপ্তারের পর সম্রাটকে নিয়ে অভিযান চালাচ্ছে র্যাব। কাকরাইলের যুবলীগের কার্যালয়ে অভিযান শুরু হয়। এরপর মহাখালীতে সম্রাটের বাসায়, শান্তিনগরে ভাইয়ের বাসায়ও অভিযান চালায় র্যাব।
মহাখালীর ডিওএইচএসের বাসায় থাকেন সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন সম্রাট চৌধুরী। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর শারমিনকে বিয়ে করেন সম্রাট।
ওই বাসায় অভিযানের সময় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন শারমিন। তিনি বলেন, তাঁর স্বামী ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট সব সময় সম্রাটের মতোই ছিলেন। তাঁর একমাত্র নেশা ছিল জুয়া খেলা। অন্য কোনো নেশা ছিল না। সিঙ্গাপুরে তিনি জুয়া বা ক্যাসিনো খেলতে যেতেন। বাংলাদেশে কীভাবে সম্রাট ক্যাসিনোর সঙ্গে যুক্ত হলেন, তা তিনি (শারমিন) জানেন না।
স্ত্রী শারমিন বলেন, সম্রাটের বাড়ি-গাড়ির প্রতি কোনো নেশা ছিল না। মহাখালীর বাড়ি ছাড়া আর কোনো বাড়ি নেই।
এছাড়াও তিনি জানান, ক্যাসিনো থেকে আয় করা টাকা তিনি কখনোই তার পরিবারেরর পেছনে ব্যয় করতেন না। তিনি এসব টাকা সংগঠনের কাজে ব্যয় করতেন।
সম্রাটের পৈত্রিক বাড়ি ফেনীর পরশুরামে। বড় হয়েছেন ঢাকায়। বাবা ফয়েজ চৌধুরী রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (রাজউক) চাকরি করতেন। আশির দশকের শেষ দিকে ছাত্রলীগে যোগ দেন। ছিলেন ৫৩ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। পরবর্তিতে তিনি যুবলীগের গুরুত্বপূর্ন নেতা হয়ে উঠেন এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিনের যুবলীগের পদটি দখল করেন।