রাজনীতি ৫ অক্টোবর, ২০১৯ ০৬:৫৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল কমিটি নিয়ে জটিলতা

রাকিব নবী ।।

ছাত্র রাজনীতির মূল কেন্দ্র বা সূতিকাগার বলা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে। তবে দীর্ঘ দিন হল কমিটি না হওয়ায় এক রকম স্থবির হয়ে পড়েছিলো ছাত্রলীগের  কর্মকাণ্ড। আগের কমিটির সোহাগ-জাকিরের সময়ে ঢাবির হলগুলোতে কমিটি গঠন হলেও দীর্ঘ দিন ধরে হলগুলোতে ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড এক প্রকার নেই বললেই চলে। যারা এতোদিন শোভন-রাব্বানীকে মেইনটেইন করে রাজনীতি করতো তারাও হতাশ। উত্তরবঙ্গ ও ফরিদপুর-মাদারিপুর কেন্দ্রিক যারা হলগুলোতে গ্রুপ করতো তারাও এখন আছে চরম অনিশ্চয়তার মুখে।

কারণ, হলগুলোতে ইদানীং বরিশাল ও যশোর এলাকার নেতারা আলাদা গ্রুপ তৈরি করছে। এর কারণ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে নতুন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ারন জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক লেখকের বাড়ী যশোরে বলেই এমনটি হচ্ছে। যারা এতোদিন শোভন –রাব্বানীর পৃষ্ঠপোষকতা ও আশির্বাদ নিয়ে হলগুলোতে আধিপত্য বজায় রাখছিল তারা এখন এক রকম হতাশ। যদিও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নীতি নির্ধারক পর্যায়ের এক নেতা বলেছেন এই অল্প কয়েক দিন রাজনীতি করে কেউ হলের নেতা হতে পারবেনা। তবে কবে হল কমিটি হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে অনিশ্চয়তা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সম্মেলনের আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোতে ছাত্রলীগের কমিটি  দেয়া হবে। যদিও সে সম্ভাবনা এখনও ক্ষীন। আগে হলগুলোর কমিটি গঠনে ৪ নেতা ভাগ করে নিতো। তবে কে কোন হলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক বানাবেন এবার তা ভাগ করে নেবেন ৬ নেতা। সব চেয়ে বেশী সমস্যায় আছেন , যারা এতোদিন হলগুলোতে ছাত্রদের গুছিয়ে রাখছিলেন তারা। শোভন রাব্বানীর বিদায়ের পর নতুন করে হলগুলোতে সংগঠিত হচ্ছে  যশোর ও বরিশাল এলাকার ছাত্রলীগ নেতারা। বিশেষ করে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, জগন্নাথ হল, সূর্যসেন হল, বঙ্গবন্ধু হল, এফএইচ হল ও জসিম উদ্দীন হলে  এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে।

কবে নাগাদ এ সমস্যার সমাধান হবে? আদৌ এ সমস্যার সমাধান হবে কিনা তাও নিশ্চিত নয়। সব হলগুলোর প্রার্থীরা প্রায় প্রতিদিন  শোভন- রাব্বানীকে হলের বিভিন্ন ইস্যুতে নালিশ করছে। প্রতিটি হলে ডাকসু নির্বাচিত ভিপি–জিএস থাকায় তাদের মধ্যে থেকে নেতা নির্বাচিত হবে কিনা তা নিয়েও ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। 

অন্যদিকে, ছাত্রদল প্রায় প্রতিদিন ক্যাম্পাসে শো ডাউন করছে। মধুর ক্যান্টিনে প্রত্যেকদিন ছাত্রদল তাদের দলবল নিয়ে আসছে। ছাত্রলীগের প্রধান শক্তি হলগুলো। অথচ সেই হলগুলো থেকে তেমন কোন সাড়া না পাওয়ায় ছাত্রলীগের কর্মীরা তেমন একটা মধুর ক্যান্টিনের দিকে আসছে না। যার কারণে অনেক সময় ছাত্রলীগের চেয়ে ছাত্রদলের কর্মীর সংখ্যাই দেখা যাচ্ছে বেশী। তবে এসব নিয়ে ছাত্রলীগের নীতি নির্ধারকদের তেমন একটা মাথা ব্যাথা দেখা যাচ্ছে না।