সোশ্যাল মিডিয়া ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৯:৫২

লন্ডনে নিজের ৪টি কোম্পানি! বানোয়াট খবরের প্রতিবাদ ছাত্রলীগ নেতা নাজমুলের

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম

ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম

ডেস্ক রিপোর্ট।। 

লন্ডনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নাজমুলের চার কোম্পানি!’- একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের এমন খবরের প্রতিবাদ করেছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম।


প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম যুক্তরাজ্যের লন্ডনে কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে। তার নামে ব্রিটেনের কোম্পানি হাউজে আবাসন, গাড়ির অ্যাক্সিডেন্ট ক্লেইম ম্যা‌নেজ‌মেন্ট, পণ্যের পাইকারি বিক্রেতা, বিজ্ঞাপন, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান, সেবা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ধরনের ছয়টি কোম্পানির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুটি কোম্পানির পরিচালক পদে তার নাম নেই। বাকি চার‌টি কোম্পানির ম‌ধ্যে একটির একক পরিচালক এবং আরও তিনটি যৌথ পরিচালক হিসেবে তিনি রয়েছেন। এছাড়াও সে সংবাদে দাবি করা হয় যে ইংল্যান্ডে কোম্পানী খুলতে ২ লক্ষ পাউন্ড অর্থ্যাৎ প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ টাকার বিনিয়োগের দরকার হয়। তবে আমাদের কাগজের অনুসন্ধানী দল বিষয়টি খতিয়ে দেখলে প্রকাশিত প্রতিবেদনের সত্যতা পায় নি। ইংল্যান্ডের কোম্পানী ওপেনের ক্ষেত্রে নতুন কোম্পানী খোলা সংক্রান্ত ব্রিটিশ সরকারের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট companyhouse.gov.il এ দেখা যায় যে মাত্র ৪ ঘন্টায় ইংল্যান্ডে একটি কোম্পানী খোলা যায়। এমন কি শর্ত হিসেবে রয়েছে অন্তত পক্ষে একজন ব্যাক্তির তথ্য, কোম্পানীর নাম ও খুবই স্বল্প পরিমান অর্থের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ২ লক্ষ্ পাউন্ড বিনিয়োগের বিষয়টি কোন ভাবেই সঠিক নয়। এরপরে সেই প্রকাশিত খবরে কোম্পানীর যে নাম গুলো দেওয়া হয়েছে তাও অনুসন্ধান করে সেই খববের সত্যতা পাওয়া যায় নি।  এলিট সিটি লিমিটেড নামের একটি কোম্পানী যা খোলাই হয়েছে গত ৩১ আগস্ট এবং এই কোম্পানীর অর্থ সংক্রান্ত যেই তথ্য দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে, তাও সঠিক নয়। তার অন্য কোম্পানী কার মিউজিয়াম লিমিটেড ২০১৬ সালে খোলা হলেও এইখানেও কোন বড় প্রকারের বিনিয়োগ হয় নি। একোম্পানীর শেয়ার সংখ্যা মাত্র ১০০ টি এবং প্রত্যেকটি শেয়ারের মূল্য ১ পাউন্ড। এছাড়াও অন্য প্রতিটি কোম্পানীর ক্ষেত্রেও প্রতিবেদনে প্রকাশিত কোন তথ্যই সঠিক নয় বলে আমাদের কাগজের কাছে প্রতিয়মান হয়েছে। 

পরবর্তিতে প্রকাশিত এই খবরকে খবরকে 'তামাশা ও কাল্পনিক' আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের এই সাবেক সাধারন সম্পাদক। যিনি দীর্ঘসময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান ছাত্রনেতা হিসেবে যিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১/১১ পরবর্তি সময়ে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্বাবধায়ক সরকারের সময় তার সাহসী ভূমিকা, ছাত্রদের সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার ঘটনা এখনো ছাত্রনেতাদের মাঝে কিংবদন্তি তূল্য। তাই এইরকম একটি সংবাদে হতবাক হয়ে যায় অনেক ছাত্রনেতাই। কিন্তু তাদের সেই সদা হাস্যজ্বল পরিচিত মুখ থেকে এবার বেরিয়ে এসেছে প্রতিবাদের স্ফূলিঙ্গ ও একই সাথে ক্ষমা করার মত হৃদয়। তার বিরুদ্ধে এতো বড় অপপ্রচারের পরও তিনি শুধু সত্যটি তুলে ধরেছেন। একই সাথে জানিয়েছেন যে সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়ার অনীহা। কারন তার ক্ষতি করা লোকটিরও তিনি ক্ষতি করতে চান না।  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার দেওয়া স্ট্যাটাসটি আমাদের কাগজ পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে দেওয়া হলো-

"তামাশা ????????
লন্ডনে একটা কোম্পানি খুলতে খরচ হয় ১২ পাউন্ড
৪ টি কোম্পানি খুলতে খরচ হয়েছে ৪৮ পাউন্ড বাংলা টাকায় প্রায় ৪৯০০ টাকা যা সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স খুলার চাইতেও কম । আর অপরিশোধিত মূলধন হিসেবে চাইলে আপনি যা ইচ্ছা দেখাতে পারবেন তারপরও আমার কোন কোম্পানির অপরিশোধিত মূলধনের পরিমান ৫/৭ হাজার পাউন্ডের বেশী নয় অথচ কি কাল্পনিক নিউজ ?
আর কোম্পানী যুক্তরাজ্যে চাইলে যে কেউ খুলতে পারে জাস্ট ২০ মিনিট সময় লাগে অনলাইনে ।

আমার কোম্পানিগুলোর নাম তো সবাই পেলেন এখন
Companyhouse.gov.uk এখানে গিয়ে দেখলেই বুঝবেন সংবাদের সত্যতা কতটুকু।

আরেকটা কথা যুক্তরাজ্যে চাইলেই কেউ কোটি কোটি পাউন্ড ইনভেস্ট করতে পারে না ।

আর যে কোম্পানির কথা বলছেন ১০ কোটি টাকার সেটা এক্ষন ঐ সাংবাদিকের কাছে বিক্রি করতে চাই বিনামূল্যে
যদি কোন মায়ের বুকের দুধ খেয়ে থাকেন চ্যালেন্জ গ্রহন করুন আমি বললাম তো ঐ কোম্পানীতে এক টাকাও বিনয়োগ করা হয়নি শুধু নাম দিয়ে কোম্পানী খুলে রেখেছি ।
মামলা করলে এদেশে কি পরিনতি হয় তা তো জানেন পন্ডিত সাহেব ?
দিলামনা আপনার পেটে লাথ্থি কারন হয়তোবা এস্যাইলাম মেরে থাকতেছেন এই দেশে হাজার মাইল দুরে রেখে আসা পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে ।

আমি চাইলেই পন্ডিত মহাশয়কে আইনের মাধ্যমে শায়েস্তা করতে পারি আবারও মাফ করে দিলাম কারন অভ্যাস হয়ে গেছে ।

লায়ার!

লল !!!!!!!!!!!!"