চরফ্যাশন প্রতিনিধি: ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুর্গম চরে বকুলি বেগম (৩৫) নামের এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নিজ স্বামীর বিরুদ্ধে। বুধবার ভোর রাতে জমির মালিকানা বিরোধে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে স্বামী বাচ্চু মেলকার এমনটা করেছেন বলে জানা গেছে।
উপজেলার মুজিবনগর ইউনিয়নের শিকদারের চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বকুলি বেগমের বড় বোন মুকুলি বেগম (৪০) কে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চরফ্যাশন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মৃত শাজাহান সর্দার গং এর ১৩২৯ একর রেকর্ডীয় জমি একটি চক্র জাল জালিয়াতি করে দলিল করেছে। এছাড়া খাস জমি দেখিয়ে বন্দোবস্ত নিয়ে দখলকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। যা দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলা আদালতে চলমান ছিল দীর্ঘদিন।
তবে বাচ্চুর প্রতিপক্ষ শাহজাহান সর্দারের ছেলে রুবেল সর্দার বলেন, মামলায় পরাজিত হয়ে ২০০৩ সালে বাচ্চু তার পিতা মন্নান মেলকার ও মাতাকে এ্যাসিড দিয়ে ঝলসে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। সেই মামলার স্বাক্ষী বর্তমান ইউপি সদস্য মালেক। উচ্চ আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হয়েছে। পরবর্তীতে আদালত ৭জনকে ১৭ ধারায় প্রসিকিউশন দিয়েছে। ২০১৮ সালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ভোলা ৬৬২টি খতিয়ান বাতিলের আদেশ দেন। এ ঘটনার পর থেকে নতুন ফন্দি করে বাচ্চু।
আরও বলেন, নিজের স্ত্রীকে হত্যার আগে বাচ্চু তার মেয়ে ঈষা (০৭) কে নিয়ে দুলারহাট রাত্রিযাপন করার কথা বলে বাড়ি থেকে গভীর রাতে বের হয়। এরপর এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমাদের ফাঁসানোর জন্য।
কিন্তু বাচ্চু এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, আমার স্ত্রী মামলার কাগজ পত্র নিয়ে থানায় আসা যাওয়া করত। এজন্য তাকে আমাদের প্রতিপক্ষ শাজাহান সর্দার ও স্বপনের ছেলেরা হুমকি দিয়ে ভয় দেখাত।
ইউপি সদস্য আবদুল মালেক বলেন, বাচ্চুর বাবা আবদুল মান্নান মেলকারের সঙ্গেও শাজাহান পক্ষের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর আগে আবদুল মান্নান মেলকার ও তাঁর স্ত্রীর ওপর প্রতিপক্ষের লোকজন হামলা করেছিল। এসব বিরোধের জেরে বাচ্চুর স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি )আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেছি তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেননি।
আমাদের কাগজ//জেডআই
