রেকর্ড হারে উৎপাদন বেড়েছে সিরামিক খাতে
ছবিঃ ইন্টারনেট
আমাদের কাগজ ডেস্কঃ বড় পণ্যের মধ্যে সিরামিকের সম্প্রসারণ একটি। এ খাতে মূল্য সংযোজনও, স্থানীয় কাঁচামাল ও সেবার ব্যবহার, তুলনামূলকও বেশি। প্রায় ৮৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন হয় সিরামিকে।
সিরামিক খাতে গত ১০ বছরে ২০০ শতাংশ উৎপাদন বেড়েছে বলে জনিয়েছেন বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা।
এছাড়াও এ খাতে প্রায় ২০ শতাংশ বিনিয়োগ বেড়েছে বলে জনিয়েছেন তিনি।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি। আগামী ২৪ নভেম্বর ঢাকায় শুরু হচ্ছে হচ্ছে ‘সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ ২০২২’। এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে সিরাজুল ইসলাম বলেন, অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় দেশে ইতোমধ্যেই সিরামিক টেবিলওয়্যার, টাইলস্ ও স্যানিটারিওয়্যার এর ৭০টিরও অধিক শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় বাজারে বিক্রয়ের পরিমাণ বার্ষিক প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। গত দশ বছরে সিরামিক খাতে উৎপাদন বেড়েছে ২০০ শতাংশ এবং বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। বিশ্বের প্রায় ৫০টিরও অধিক দেশে সিরামিক পণ্য রফতানি করে বছরে আয় প্রায় পাঁচশত কোটি টাকা। এ খাতে রফতানি আয় বাড়ছে। বাড়ছে বিনিয়োগও। এ শিল্পে প্রায় ১৫ (পনের) হাজার কোটি টাকার অধিক বিনিয়োগ রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ খাতটির সঙ্গে জড়িত।
তিনি আরও বলেন, এ দেশে বাণিজ্যিকভাবে সিরামিকের যাত্রা শুরু হয় প্রায় ষাট বছরের অধিক সময় ধরে। ৬০ এর দশকে ঢাকায় মিরপুর সিরামিক এবং বগুড়ায় তাজমা সিরামিক ও টঙ্গীতে পিপলস সিরামিক কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। মুন্নু সিরামিক ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই রফতানি বাজারে প্রবেশের মাধ্যমে বাংলাদেশের সিরামিক পণ্য বিশ্ববাজারে উন্মোচিত হয়। পরে আরও অনেক উদ্যোক্তা সিরামিক খাতে বিনিয়োগ করেন।
বিসিএমইএ সভাপতি বলেন, আপনারা অবগত রয়েছেন যে, অনেক প্রতিকূলতা পেরিয়ে উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় দেশে ইতোমধ্যেই সিরামিক টেবিলওয়্যার, টাইলস্ ও স্যানিটারিওয়্যার এর ৭০টিরও অধিক শিল্প-কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় বাজারে বিক্রয়ের পরিমাণ বার্ষিক প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা। গত দশ বছরে সিরামিক খাতে উৎপাদন বেড়েছে ২০০ শতাংশ এবং বিনিয়োগ বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। বিশ্বের প্রায় ৫০টিরও অধিক দেশে সিরামিক পণ্য রফতানি করে বছরে আয় প্রায় পাঁচশত কোটি টাকা। এ খাতে রফতানি আয় বাড়ছে। বাড়ছে বিনিয়োগও। এ শিল্পে প্রায় পনের হাজার কোটি টাকার অধিক বিনিয়োগ রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় পাঁচ লাখ মানুষ খাতটির সঙ্গে জড়িত।
‘উন্নত গুণগতমান ও আকর্ষণীয় ডিজাইনের কারণে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশে তৈরি সিরামিক পণ্যের কদর বাড়ছে। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে নতুন নতুন বাজারও সৃষ্টি হচ্ছে। এমনকি এই শিল্পে বড় উৎপাদনকারী দেশ চীন ও ভারতের নজরও এখন বাংলাদেশের দিকে। বিশ্বকে চমকে দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের সিরামিক পণ্য,’ যোগ করেন তিনি।
সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ ২০২২ বিষয়ে তিনি বলেন, আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টার (আইসিসিবি), কুড়িল, বসুন্ধরা, ঢাকায় শুরু হতে যাচ্ছে সিরামিক এক্সপো বাংলাদেশ ২০২২। তিনদিনব্যাপী এশিয়ার অন্যতম এ আন্তর্জাতিক সিরামিক মেলার আয়োজনে রয়েছে, বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ)।
তৃতীয় বারের মতো এ আয়োজনে ওয়েম কমিউনিকেশন লি. এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এক্সপোতে একই ছাদের নিচে অংশগ্রহণ করছে স্বাগতিক বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৫টি দেশের ৯০টি প্রতিষ্ঠানসহ ২০০টি ব্রান্ড। এছাড়া মেলায় অংশ নেবেন ৩০০ আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ও ক্রেতা। এখানে আরও থাকবে তিন দিনে ৫টি সেমিনার, জব ফেয়ার, বিটুবি এবং বিটুসি মিটিং, র্যাফেল ড্র, আকর্ষণীয় গিফট্, লাইভ ডেমোনস্ট্রেশন, স্পর্ট অর্ডার এবং নতুন পণ্যের মোড়ক উম্মোচনের এর সুযোগ।
উল্লেখ্য, প্রধান রফতানি পণ্যের তালিকায় এ পণ্যের অবস্থান এখন সপ্তম। বছরে রফতানি আয় কম-বেশি পাঁচ কোটি ডলার।
আমাদের কাগজ/এম টি