অপরাধ ও দুর্নীতি ১০ নভেম্বর, ২০২২ ০৭:৪৩

জামায়াত আমীরের ছেলেকে আটকের ব্যাপারে যা বলল পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ডা. রাফাতের জঙ্গি সম্পৃক্ততার ও বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ ও সিটিটিসি প্রধান কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।

সিটিটিসি প্রধান বলেন, এই জঙ্গি সংগঠনের সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. রাফাত জামায়াত আমীরের ছেলে বলে আমরা জানতে পেরেছি।  পিতার সংগঠনের (জামায়াত) সাতে কোনও নির্দেশনা ছিল কিনা বা তাদের নির্দেশে নতুন এই জঙ্গি সংগঠনে যুক্ত ছিল কিনা তা রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

রাফাত এই সংগঠনের মাস্টার মাইন্ড বলে দাবি করে তিনি বলেন, কথিত হিজরত করতে প্রস্তুত সিলেট অঞ্চলের আরও বেশ কয়েকজন যুবককে আমরা শনাক্ত করেছি। হিজরতের আগেই আমরা মাস্টারমাইন্ড ডা. রাফাতকে গ্রেফতার করেছি।

রাফাতের সঙ্গে জামায়াত বা শিবিরে সাথে কোন যোগাযোগ আছে কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, এক সময় শিবির করতেন রাফাত। তবে কোন পর্যায়ের নেতা ছিলেন সেটা জানায়নি। বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে তার সিক্রেট যোগাযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের মতো হামলা বা নাশকতার উদ্দেশ্য ছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই সংগঠনের মাস্টারমাইন্ড শামীম মাহফুজ। তার সহযোগী তমাল। তাদের গ্রেফতার করা গেলে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানা যাবে।

বুধবার দুপুরে জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে  সিলেট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ডা. রাফাত সাদিক সাইফুল্লাহকে।

সিটিটিসি দাবি করেছে, ডা. রাফাত চৌধুরী নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্য ও তিনি সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করতেন।

সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানান, গত ১ নভেম্বর সায়েদাবাদ থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই তার নাম এসেছে। এর প্রেক্ষিতেই সিলেট থেকে ডা. রাফাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাফাত মাস্টারমাইন্ড। তিনি একটি মেডিক্যাল থেকে এমবিবিএস পাশ করে ইন্টার্নি করেন। সিলেট থেকে নিখোঁজ তিন যুবককে এই রাফাতই রেডিক্যালাইডজের নেপথ্যে মূল ব্যক্তি ছিলেন বলেও দাবি তার।

আমাদেরকাগজ/ এএইচ