Notice: Trying to access array offset on value of type null in /home/u863453615/domains/amaderkagoj.com/public_html/includes/frontend/contents/post.php on line 46

সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলা

১৭ মাস পর ২৪ আসামির বিচার শুরুর আদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: 

অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার এক বছর সাত মাস পর অবশেষে বিচারে এল চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা সুদীপ্ত বিশ্বাস হত্যা মামলা। এ মামলায় ২৪ আসমির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৩ অক্টোবর) চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আমিরুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর জন্য ৩০ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। এর মধ্যে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়েছে মোট ছয়বার।

চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী জানান, নিয়ম অনুযায়ী এদিন আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পড়ে শোনানো হয়। আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে অব্যাহতি চান। পরে বিচারক ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর সিদ্ধান্ত দেন।

এ মামলার আসামিরা সবাই জামিনে আছেন। তাদের মধ্যে আবু জিহাদ সিদ্দিকী নামের একজন ছাড়া বাকিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক তার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

সুদীপ্ত বিশ্বাসের বাবা মেঘনাথ বিশ্বাস বলেন, অনেকদিন পর অভিযোগ গঠন হল। এখন সাক্ষ্য শুরু হবে। আসামিরা অনেক ক্ষমতাবান ও টাকাওয়ালা। আমি শিক্ষক মানুষ। আর্থিক অবস্থাও ভালো না। অনেক কষ্টে একজন উকিল দিয়েছি। আমি সবার সহযোহিতা চাই যেন ছেলে হত্যার বিচার পাই। মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিলে তাড়াতাড়ি বিচার হত। এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর ও ১৮ জুলাই মামলার অভিযোগ থেকে আসামিদের অব্যাহতির আবেদনের শুনানি হয়। বিচারক তা খারিজ করে দিয়েছেন।

তার আগে ২০ জুন আসামিরা সময় প্রার্থনা করায়, ২৬ মার্চ এক আসামি হাজির না থাকায়, ২২ মার্চ বিচারক ছুটিতে থাকায় এবং ১৯ জানুয়ারি আসামিরা সময়ের আবেদন করায় মোট চার দফা অভিযোগ গঠন পিছিয়ে যায়। 

২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর সকালে দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় নগর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে।  দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুমসহ ২৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

আসামি দিদারুল আলম মাসুম লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। অভিযোগপত্রে তাকে সুদীপ্ত হত্যার ‘নির্দেশদাতা’বলা হয়েছে। আর আইনুল কাদের নিপুকে বলা হয়েছে হত্যাকাণ্ডে ‘নেতৃত্বদাতা’।

আসামিদের মধ্যে ১৮ জন গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে চারজন আদালতে জবানবন্দিও দেন। পরে তারা জামিন পান। 

 

টিআর


আরো খবর