অন্যান্য ৭ মার্চ, ২০২১ ০৯:০০

জাহাজটি বাতাসে ভাসার কারণ

ডেস্ক রিপোর্ট

কয়েক দিন যাবত একটি ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেই ছবিতে একটি জাহাজ পানির বদলে ভেসে যাচ্ছে শূন্যে। সেই ছবি সোস্যাল মিডিয়ায় আসছেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়।

ব্রিটেনের কর্নওয়েলের এক বাসিন্দা ডেভিড মরিস সমুদ্রের ঠিক ওপরে বিশাল একটি জাহাজকে শূন্যে ভেসে থাকতে দেখেন। তিনি এই দৃশ্য বিশ্বাস করতে পারেননি। সঙ্গে সঙ্গেই ক্যামেরায় বন্দি করেন হাওয়ায় ভেসে থাকা জাহাজটিকে। এটি দৃষ্টিবিভ্রমের একটি উদাহরণ যা মরীচিকা (সুপিরিয়র মিরেজ) হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত। এ ধরনের বিভ্রম আর্কটিক অঞ্চলে প্রায়ই ঘটার সম্ভাবনা থাকলেও যুক্তরাজ্যে কমই ঘটে থাকে। তবে যদি বায়ুমণ্ডলের পরিস্থিতি ঠিক থাকে, তবে ব্রিটেনের শীতেও এই বিরল মরীচিকা প্রত্যক্ষ করতে পারে লোকে।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের দৃষ্টিবিভ্রম মূলত আবহাওয়াগত কারণে ঘটে যাকে বিজ্ঞানীরা তাপমাত্রা বিপর্যয় (টেম্পারেচার ইনভারশন) হিসেবে অভিহিত করেছেন। সাধারণত উচ্চতা বৃদ্ধির সাথে বায়ুর তাপমাত্রা ক্রমশ হ্রাস পায় যা পর্বতশৃঙ্গগুলোকে তাদের পাদদেশের চেয়ে শীতলতর করে তোলে। কিন্তু যখন টেম্পারেচার ইনভারশন দশা ঘটে, তখন উষ্ণ বায়ু শীতলতর বায়ুর ওপর থাকে। ফলে বায়ুমণ্ডলের স্তরে যে পরিবর্তন সাধিত হয় তাতে আমাদের দেখতে পাবার ক্ষমতায় বিপর্যয় নেমে আসে। কর্নওয়ালে দৃষ্টি বিপর্যয়ের কারণও এটি। শীতল সমুদ্রের ওপর ঠান্ডা বাতাস বইছিল, তার ওপরের স্তরে আবার ছিল উষ্ণ বায়ুপ্রবাহ।

যেহেতু ঠান্ডা বাতাস উষ্ণ বাতাসের চেয়ে ঘন, তাই এটি স্থল বা উপকূলে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তির চোখের দিকে আলোর প্রবেশপথ বাঁকিয়ে দেয়, ফলস্বরূপ অনেক দূরবর্তী বস্তু ভিন্নভাবে নজরে আসে। ডেভিড বলেন, ‘সুপিরিয়র মিরেজগুলো বিভিন্ন ধরণের চিত্র তৈরি করতে পারে- এখানে একটি দূরবর্তী জাহাজকে তার আসল অবস্থানের থেকে ওপরে উঁচুতে ভাসতে দেখা যায়, তবে কখনও কখনও দিগন্তসীমার নিচের কোনো বস্তুও দৃশ্যমান হতে পারে।’