ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
সম্প্রতি মিয়ানমারের ওপর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর কার্যকর এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে মিয়ানমার ইকোনমিক করপোরেশন ও মিয়ানমার ইকোনমিক হোল্ডিংস পাবলিক কোম্পানি নামের দুইটি সরকারি সংস্থাও।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) এ আদেশ দেয় বাইডেন প্রশাসন।
আন্তর্জাতিক কূটনীতি বিষয়ক গণমাধ্যম দ্যা ডিপ্লোম্যাট জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে ‘টাটমাডাও’ বা বার্মিজ সেনার একাধিক কর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হবে। একই সঙ্গে মিয়ানমারে স্বাস্থ্য ও জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরঞ্জাম ছাড়া অন্য পণ্যের রফতানি বন্ধ করতে পারে ওয়াশিংটন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। বর্তমানে সামরিক সরকারের কাছে আটক রয়েছেন গত নভেম্বরে বিজয়ী দল এনএলডি’র শীর্ষ নেতা অং সান সু চিসহ নির্বাচিত সরকারের প্রেসিডেন্ট এবং অধিকাংশ মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতা। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারির পর ‘গণতন্ত্র রক্ষায়’ একই পথে হাঁটে যুক্তরাজ্য ও কানাডা। সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারাও।