ডেস্ক রিপোর্ট
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় জমি নিয়ে সংঘর্ষে আক্তার হোসেন গাজী (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আর ১০ জন। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার হিরণ ইউনিয়নের আট্রাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আক্তার হোসেন গাজী আট্রাবাড়ি গ্রামের সামচুল হক গাজীর ছেলে।
জানাগেছে, আট্রাবাড়ি গ্রামের সামচুল হক গাজীর ছেলে ওহাব আলী গাজীর সঙ্গে একই গ্রামের তাছেন গাজীর ছেলে সোহরাব হোসেন গাজীর দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো।
এরই সূত্রধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় সোহরাব হোসেন গাজী লোকজন নিয়ে ওহাব আলীস গাজীদের উপর হামলা চালায়। হামলায় ওহাব আলী গাজী (৫০), হালিম গাজী (৫৫) ও আক্তার হোসেন গাজীসহ ১০ জন আহত হন।
গুরুতর আহত ওহাব আলী গাজী (৫০), হালিম গাজী(৫৫) ও আক্তার হোসেন গাজীকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
সেখানে আক্তার হোসেন গাজীর অবস্থার অনবতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ১১টায় আক্তার হোসেন গাজী মারা যায়।
এদিকে আক্তার হোসেন গাজীর মৃত্যু সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওহাব আলী গাজীর লোকজন প্রতিপক্ষ মাহবুব গাজী, সোহরাব গাজী, নাসির গাজী, বাদল গাজী, আইউব গাজীসহ প্রায় ১৫ জনের বসত ঘর ভাঙচুর করে।
ওহাব আলী গাজী বলেন, আমাদের জমিতে সোহরাব হোসেন গাজী জোর করে ব্লক নির্মাণ করেছে। আমরা এর প্রতিবার করায় সোহরাব হোসেন গাজী তার লোকজন নিয়ে আমাদের মারধর করেছে। মারধরে আমার ভাই আক্তার হোসেন গাজী নিহত হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য সোহরাব হোসেন গাজীর বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া জায়নি। তবে তার চাচাতো ভাই মাহবুব গাজী বলেন, মারামারির ঘটনার সময় আমি এলাকায় ছিলাম না। কিন্তু ওহাব আলী গাজীর লোকজন আমার বাড়িটি ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান বলেন, মারামারির ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নিহত আক্তার হোসেন গাজীর পরিবারে পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।