শিক্ষা ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৪:২৩

এবার থেকে পাঠ্যবইয়ের সাথে স্কুল ড্রেসের টাকাও পাবে শিক্ষার্থীরা

ডেস্ক রিপোর্ট ।।

বছরের শুরুতেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের দেয়া হয় নতুন চকচকে পাঠ্যবই। কিন্তু এবার থেকে নতুন পাঠ্যবইয়ের সঙ্গে স্কুল ড্রেস, জুতা ও ব্যাগ কেনার জন্যও টাকা পাবে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ২০২০ শিক্ষাবর্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বইয়ের সঙ্গে মাথাপিছু ২ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।

গত মাসের শেষের দিকে এক সমন্বয় সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সভায় উপস্থিত থাকা ডিপিইর মহাপরিচালক এফ এম মনজুর কাদির। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এসব উপকরণ দেয়ার পরিকল্পনার কথা জানায় মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে ডিপিইর মহাপরিচালক এফ এম মনজুর বলেন, শিক্ষার্থীদের স্কুলে মনোযোগী করার জন্য নতুন বইয়ের সঙ্গে ২ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে নতুন ব্যাগ, স্কুল ড্রেস, জুতাসহ প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারবে। এজন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বাজেটও নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই দরিদ্র পরিবারের সন্তান। বছরের শুরুতে এসব শিক্ষার্থীদের হাতে অর্থ তুলে দিলে তারা শিক্ষা উপকরণ কিনতে পারবে। এতে করে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হারও কমবে।

এর আগে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন কুড়িগ্রামে এক অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে বলেন, আগামী বছর শুরুর দিন দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বইয়ের পাশাপাশি দুই হাজার করে টাকা দেয়া হবে। শিক্ষার্থীদের স্কুলের পোশাক কেনার জন্য এ টাকা দেয়া হবে।

প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়মুখী করতে সরকারের নানা ধরনের উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়গুলোকে দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। আকর্ষণীয় করে সাজানো হচ্ছে ক্লাসরুম। আনন্দঘন পরিবেশে পাঠদান নিশ্চিত করতে এতসব আয়োজন করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করার জন্য নেয়া বিভিন্ন প্রকল্পে যারা দুর্নীতি করছেন তারা কেউ মাফ পাবেন না। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। মনে রাখবেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা করেছেন।