জাতীয় ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০১:০৪

নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে সারাদেশে গ্রন্থাগার দিবস উদ্বোধন

ডেস্ক রিপোর্ট

সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। মুজিববর্ষে এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, ঘরে ঘরে গ্রন্থাগার।

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

এ সময় সারা দেশে একযোগে দিবসটির উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।

গ্রন্থাগারের ভূমিকা ও তাৎপর্য নিয়ে সভার আলোচনায় বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বই ও গ্রন্থাগার একে অন্যের পরিপূরক। ভাষা, একুশ ও গ্রন্থ সবই আমাদের জন্য পরিপূরক শব্দ। গ্রন্থাগার কেবল তার অবকাঠামো বা বইপুস্তকের অবকাঠামো নয় বরং তা জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি ভাষা নির্মাণে ভূমিকা রাখে। আজ পৃথিবীর যেকোনো মানুষ জ্ঞানকেই অগ্রভাগে রাখে। তাই যে জাতি জ্ঞান বিজ্ঞানে যত এগিয়ে তারা তত উন্নত। অনেকেই বলছেন মুদ্রিত বইয়ের আকাঙ্খা হয়তো কমে যাচ্ছে, তবে তা নয়। জ্ঞানের যে বীজ, তা আসে লেখ্য রূপ থেকেই। আর তাকে বাঁচিয়ে রাখতে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অসামান্য।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণগ্রন্থাগার অধিদপ্তরের মহাপরিচলক মো. আবুবকর সিদ্দিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি। সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বক্তারা বলেন, আমাদের যদি জ্ঞান না থাকে তবে চোখের সামনে অনেক কিছু থাকলেও আমরা তা দেখতে পাবো না। তেমনি আমাদের সংস্কৃতিও অনেক। আমরা যা বলি, যা ভাবি, যা দেখি, তাই সংস্কৃতি। আর একটি বই ও একটি গ্রন্থাগার আমাদের জ্ঞান বৃদ্ধি করে দৃষ্টিশক্তি আরও বাড়িয়ে দেয় এবং সংস্কৃতির উন্নয়ন ঘটায়।

সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, একটি জাতির সঠিক আলোর দিশারি গ্রন্থাগার। আলোকিত সমাজ গঠনে গ্রন্থাগারের ভূমিকা অসামান্য। সামাজিক ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধের সৃষ্টি, সর্বোপরি জনসাধারণের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ গ্রন্থাগারের মূল উদ্দেশ্য। তাই আমাদের এবং আমাদের তরুণসহ নতুন প্রজন্মকে এখন গ্রন্থাগারে যেতে উৎসাহিত করতে হবে। তবেই আলোকিত জাতি গঠন করা সম্ভব। আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।