ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
মিয়ানমার এখন সেনা সরকারের পুরো কবজায়। মিয়ানমার সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের প্রথম দিনেই ক্ষমতাচ্যুত অং সান সু চির সরকারের অধিকাংশ সদস্যকে বরখাস্ত করে নতুন লোক নিয়োগ করেছে। দুই দিন পেরিয়ে গেলেও মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্ট উয়িন মিন্টসহ কাকে কোথায় কীভাবে রাখা হয়েছে তা প্রকাশ হয়নি।
তবে মিয়ানমারের রাস্তাঘাটে খুব একটা বেশি পরিবর্তন চোখে পড়ে না। গত সোমবারের সেনা অভ্যুত্থানের পর মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারী) সামরিক অভ্যুত্থানের ২য় দিনে মিয়ানমারের বাসিন্দারা নাগরিক অবাধ্যতা আন্দোলন শুরু করেছেন। এসময় তারা গাড়ির হর্ন বাজিয়ে, থালাবাটি পিটিয়ে মিলিটারি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
এদিকে, মিয়ানমারে গত সোমবার ঘটে যাওয়া সামরিক অভ্যুত্থান ও গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে আটকের ঘটনাকে ‘মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদল’ বলে উল্লেখ করে সংবাদ প্রচার করেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম সিনহুয়া। সংস্থাটি সামরিক অভ্যুত্থান শব্দটিকে এড়িয়ে গেছে। পাশাপাশি সংবাদে চীনের পক্ষ থেকে মিয়ানমারের সব পক্ষকে ‘নিজেদের মধ্যকার বিরোধ মিটিয়ে’ নিতে আহ্বান জানায়। চীনের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টির মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বিশেষজ্ঞ বলেন, এই ক্ষমতা দখলটিকে ‘দেশটির অকার্যকর ক্ষমতা কাঠামোর মধ্যে সমন্বয় হিসেবে দেখা যায়।’
২০২০ সালের ৮ নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সু চির দল ৮৩ শতাংশ আসনে জয়ী হয়। তবে সাংবিধানিকভাবে পার্লামেন্টের অন্তত ২৫ শতাংশ আসন পাওয়া সেনাবাহিনী নির্বাচনে জালিয়াতের অভিযোগ এনে ফল প্রত্যাখ্যান করেছে। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারী) নতুন সরকার গঠনের পর প্রথম পার্লামেন্ট অধিবেশন ছিল। ওই দিনই সু চিসহ তার দলের নেতাদের গৃহবন্দি করে অভ্যুত্থানের ঘোষণা দেয় দেশটির সেনাবাহিনী।