Notice: Trying to access array offset on value of type null in /home/u863453615/domains/amaderkagoj.com/public_html/includes/frontend/contents/post.php on line 46

টিকাদানের অগ্রাধিকার তালিকায় প্রথমে যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভ্যাকসিন দেওয়ার একটি পদ্ধতি অনসুরণ করা হবে। করোনায় ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের আগে এ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তারপর পর্যায়ক্রমে যারা বয়সে সিনিয়র তাদের দেওয়া হবে।

আজ শনিবার দুপুরের দিকে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের (ডিসি) সম্মেলন কক্ষে করোনার ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনে বিশেষ অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন।

সফলতার সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করেছি উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভ্যাকসিন দেওয়াতেও আমার সফলতার সঙ্গে দিতে পারবো। যেকোনো কাজ করতে গেলে কিছু সামলোচক থাকেই। ভ্যাকসিনের বিষয়ে বিরূপ প্রচার-প্রচারণা আছে। প্রতিটি ওষুধে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে, তাই বলে কি ওষুধ খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি।

ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, করোনার ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসাবে জ্বর, মাথা ব্যথা, টিকা দেওয়ার জায়গা একটু ফুলে যেতে পারে। এখন পর্যন্ত যত জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, তাদের সবাই আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। যারা যারা এ ভ্যাকসিন দিচ্ছে যেমন ইউরোপে, ভারতে সব জায়গাই আমরা খোঁজ-খবর নিয়েছি, তারা সবাই ভালো আছেন।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন এখন একটি বড় অস্ত্র এই করোনার জন্য। বাংলাদেশ এ বিষয়ে প্রশংসা পাবে এবং পাচ্ছেও অলরেডি। অনেক রাষ্ট্র এখনো ভ্যাকসিন পায়নি। আগামী দুই-তিন মাসেও পাবে কি-না সন্দেহ। তার উদাহরণ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিংগাপুর, শ্রীলংকাসহ বড় বড় রাষ্ট্র এখনো ভ্যাকসিন সংগ্রহ করতে পারেনি। কিন্তু বিশ্বের ২৩ নম্বর দেশ হিসাবে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করেছে।

তিনি আরু বলেন, ভ্যাকসিন এমনি এমনি আসেনি। গত ৬ মাস যাবত এই ভ্যাকসিন আনার জন্য এর পেছনে লেগে থাকতে হয়েছে। যারা যারা ভ্যাকসিন তৈরি করছে, সবাইকে আমরা পত্র পাঠিয়েছি। সবার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেছি। ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট অন্যতম সেরা ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক। পৃথিবীর ৬০ ভাগ ভ্যাকসিন এ ইনস্টিটিউটে তৈরি হয়। সেখান থেকে আমরা এ ভ্যাকসিনটি আনার ব্যবস্থা করেছি। অনেক দেন দরবার হয়েছে এ নিয়ে। ভ্যাকসিন আসার আগ মূহূর্তে সব দেশের চাপ পড়েছে। আমরা আগে আগে বুকিং দিয়েছি, আগে আগে টাকা পাঠিয়েছি, নিকোসিয়েট করেছি। অন্যেরা এখন চাপ সৃষ্টি করছে। আমরা ৩ কোটি ভ্যাকসিনের টাকা অলরেডি দিয়ে দিয়েছি। ২০ লাখ ভ্যাকসিন ভারত সরকার বাংলাদেশের মানুষকে উপহার হিসাবে দিয়েছে। আমাদের কাছে এই মূহূর্তে ৭০ লাখ ভ্যাকসিন আছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ( ডব্লিউএইচও) আমাদের সাড়ে ৬ কোটি ভ্যাকসিনের অর্ডার দেওয়া আছে। যখন পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন থাকবে তখন তারা আমাদের সরবরাহ করবে।

অবহিতকরণ সভায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) এস এম ফেরদৌস, সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমি আখন্দ, পুলিশ সুপার (এসপি) রিফাত রহমান শামীম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম ছারোয়ার ছানু, সাধারণ সম্পাদক অতীন্দ্র চক্রবর্তী বিপ্লবসহ সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

 


আরো খবর