অর্থ ও বাণিজ্য ২২ জানুয়ারি, ২০২১ ০৫:৩৩

পেঁয়াজের দাম কমলেও বেড়েছে মুরগি-তেলের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

৭ দিনের ব্যবধানে ব্রয়লার ও সোনালী মুরগির দাম বেড়েছে প্রতিকেজিতে দাম ১০-২০ টাকা। চিনি ও ভোজ্যতেল বাড়তি দামে বিক্রি হলেও কমেছে সবজি ও পেঁয়াজের। অপরিবর্তিত রয়েছে আলু, ডিম, চাল এবং গরু ও খাসির মাংসসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিরপুরের মুসলিম বাজার, মিরপুর-১ নম্বর বাজার, ২ নম্বর বাজার, ৬ নম্বর বাজার, ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কলোনি বাজার, কালশী বাজার ও পল্লবী এলাকা ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত দাম কমে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা, শালগম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, গাজর ৩০ থেকে ৪০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, করলার ৩০-৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পাকা টমেটো ৩০ টাকা, কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ২৫ টাকা, বরবটি ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৪০ টাকায়, ১০ টাকা কমে বাঁধাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকার মধ্যে। মিষ্টি কুমড়া আকারভেদে ২০-৩০ টাকায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

হালিতে ৫ টাকা কমে কলা বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকায়, জালি কুমড়া ৩০ টাকায়, ছোট মিষ্টি কুমড়ার কেজি ২৫ টাকার মধ্যে। দাম কমেছে নতুন আলুর। কেজিতে ৫ টাকা কমে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া আদা প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, রসুনের কেজি ১২০ টাকা। 

বাজারে প্রতি কেজি চিনিতে ৫ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। প্রতি কেজি  আটাশ চাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, পায়জাম ৪৮ থেকে ৫০ টাকায়, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ টাকায়, নাজিরশাইল ৬৫-৬৮ টাকায়, পোলাওয়ের চাল ৯০-১০০ টাকায়। খোলা ভোজ্যতেল লিটারে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৭ থেকে ১৩০ টাকায়।

কালশী বাজারের খুচরা তেল বিক্রেতা শাহাদাত হোসেন বলেন, ভোজ্যতেলের ব্যারেল প্রতি দাম বেড়েছে। এ কারণে সপ্তাহের ব্যবধানে আবার খুচরা বাজারে লিটার প্রতি ২ টাকা থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে। তেলের দাম আবার বাড়বে।

ডজন প্রতি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ১৫০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৬০ টাকায়, ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়। 

২০ টাকা দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সোনালী মুরগি ২১০ টাকায় ও ব্রয়লার মুরগি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়।

মিরপুর-১১ নম্বর বড় বাজারের মুরগি বিক্রেতা মো. ফয়েজ বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে। পোল্ট্রি ফার্মে মুরগির উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বাড়তে শুরু করেছে। 

এসব বাজারে অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংস, মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দাম।

বাজারে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, বকরির মাংস ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা, গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, মহিষ ৫৫০ থেকে ৫৮০ টাকা।

এসব বাজারে প্রতি কেজি শিং মাছ (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, মাগুর মাছ ৬০০ টাকায়, মৃগেল ১১০ থেকে ১৫০ টাকায়, পাঙ্গাস ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, ইলিশ প্রতি কেজি (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৮৫০ থেকে ১০০০ টাকায়, চিংড়ি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, বোয়াল মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, কাতল ১৭০ থেকে ২৮০ টাকায়, ফোলি মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়, পোয়া মাছ ২০ আগের ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়, পাবদা মাছ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকায়, টেংরা মাছ ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়, টাটকিনি মাছ ১০০ টাকায়, তেলাপিয়া ১৪০ টাকায়, সিলভার কাপ ১০০ থেকে ১৪০ টাকায়, কৈ দেশি মাছ ১৫০ থেকে ৭০০ টাকায়, কাঁচকি ও মলা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়, ছোট বেলে ১২০ টাকায়, রূপচাঁদা মাছ কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়, আইড় মাছ ৫০০ টাকায়, রিঠা মাছ ২২০ টাকায় ও কোরাল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর-১১ নম্বর বাজারে আসা ক্রেতা ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন আহমেদ রিজু বলেন, বাজার ঘুরে দেখলাম সবজির দাম অনেক কমেছে। কিন্তু বেড়েছে ভোজ্যতেল আর চিনির দাম। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম আমাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকলে ভালো হয়।