বিনোদন ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৯:৩২

বাংলা সিনেমার মহানায়কের জন্মদিন আজ

বিনোদন ডেস্ক ।।

ভুবন ভোলানো হাসি, প্রেমিকসুলভ আচরণ ও লাজুক যে চেহারার মানুষটি এখনো দাগ কেটে আছে কোটি কোটি বাঙালির হৃদয়ে। যার অভিনয়ের নিপুণতাকে এখনও আদর্শ মেনে চলেছে বাংলা সিনেমা জগৎ। যিনি বাঙালির হৃদয়ে অমর হয়ে আছেন তার অসাধারণ অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। আজ সেই মহানায়ক উত্তম কুমারের জন্মদিন।

১৯২৬ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর কলকাতার ভবানীপুরের একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্মেছিলেন এই কিংবদন্তি নায়ক।

তার আসল নাম ছিল অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়। সিনেমায় এসে নিজের নাম পাল্টে রাখেন উত্তম কুমার। শিক্ষাজীবন শেষ না করেই কলকাতা পোর্টে কেরানির চাকরি শুরু করেন সংসারের হাল ধরতে। কিন্তু অভিনয়ের পোকাটা থেকেই গিয়েছিল মাথায়। তাই অবশেষে রূপালি পর্দায় উত্তম কুমারের শুরু ‘মায়াডোর’ নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। তবে কিছু জটিলতার কারণে ছবিটি মুক্তি পায়নি।

পরবর্তীতে, প্রথম ছবি হিসেবে অভিনয় করেন ‘দৃষ্টিদান’ ছবিটিতে। কিন্তু এ ছবিটিও ব্যার্থ হয়। এর বেশ কিছুদিন পর অভিনয় করেন ‘বসু পরিবার’ ছবিটিতে। এবারের ছবিটি দিয়ে খানিকটা পরিচিতি আসে এই কিংবদন্তির।

১৯৫৩ সালে অভিনয় করেন ‘সাড়ে চুয়াত্তর’ ছবিটিতে। এর পর আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি তার। ছবিটিতে উত্তম কুমারের অভিনয় ঝড় তোলে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে। এই ছবির মধ্য দিয়েই বাংলা চলচ্চিত্র পায় তার সবচেয়ে বেশী জনপ্রিয়তা।

শুরু হয় উত্তম যুগ। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে ‘হারানো সুর’, ‘পথে হল দেরী’, ‘সপ্তপদী’, ‘চাওয়া পাওয়া’, ‘বিপাশা’, ‘জীবন তৃষ্ণা’ আর ‘সাগরিকা’-এর মতো কালজয়ী সব ছবির পরিচিত ও আকাঙ্খিত মুখ হয়ে ওঠে উত্তম।

উত্তম কুমার শুধু যে বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন তা কিন্তু নয়। এর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি হিন্দি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন। তার অভিনীত হিন্দি চলচ্চিত্রের মধ্যে ‘ছোটিসি মুলাকাত’, ‘অমানুষ’, ‘আনন্দ আশ্রম’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

এরপর সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় ‘নায়ক’ ও ‘চিড়িয়াখানা’ -তে উত্তম কুমার নিজেকে তুলে ধরেছেন অনন্য ভাবে। ১৯৮০ সালের ২৪শে জুলাই চিরবিদায় নেয়ার পরও বাংলার মানুষের মনে থেকে গেছেন মহানায়ক হয়েই। যতো দিন বাংলা সিনেমা থাকবে তার নাম থাকবে অমর হয়ে।