ডেস্ক রিপোর্ট ।।
বিশ্বজুড়ে পর্ন তারকা হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয় ও পরিচিত নাম মিয়া খলিফা। নীল ছবিতে নাম লিখিয়ে মাত্র ২১ বছর বয়সেই রাতারাতি তারকা খ্যাতি পেয়েছিলেন এই লেবানিজ বংশোদ্ভূত তরুণী।
২০১৪ সালে তিনি পর্ন জগতে নাম লেখান। মাত্র তিন মাসের ক্যারিয়ারেই পর্নহাব ওয়েবসাইট তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে নেন মিয়া খলিফা।
সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির মুখোমুখি হন তিনি। বিবিসির ‘হার্ডটক’ অনুষ্ঠানে নিজের অভিজ্ঞতার অনেক করুণ গল্প শোনান মিয়া খলিফা।
এ সময় তিনি বলেন, অল্প বয়সে অনেক টাকা রোজগার, অজানা রঙিন জগতে হারিয়ে যাওয়ার হাতছানি থেকেই এই পেশায় যান তিনি। অথচ মোহভঙ্গ হয় মাত্র তিন মাসেই। সম্মান ও সময়ের বিনিময়ে সেভাবে টাকাও রোজগার করতে পারেননি তিনি।
তাই, মাত্র তিন মাস কাজ করার পরই ২০১৫ সালে এই পর্নো ছবির জগৎ থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। অথচ হারানো সম্মান ফিরে পাননি। পর্ন জগতের নীল আলো থেকে বেরিয়ে আজও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি মিয়া খলিফা।
এই তিন মাসে তার ব্যক্তিগত জীবনটাই তছনছ হয়ে গেছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আজও রাস্তাঘাটে লোকজনের মাঝে নিজেকে নিয়ে ভীষণ হীনমন্যতায় ভুগি আমি।
এ ছাড়াও তিনি আরও বলেন, নীল ছবির জগৎ থেকে বের হওয়াটা সহজ নয় কখনোই। এই ইন্ডাস্ট্রিতে ঢোকার পর একের পর এক পাকচক্রে জড়িয়ে পড়েন অল্প বয়সী মেয়েরা। পর্ন ইন্ডাস্ট্রির ব্ল্যাকহোল টেনে নেয় অল্প বয়সী মেয়েদের। নারী পাচারকারীদের মাধ্যমেও কীভাবে ছোট ছোট মেয়েরা পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে বাধ্য হয়, সে বিষয়েও জানিয়েছেন মিয়া।
তিনি আরও বলেন, অনেক মেয়েই অপরিণত মনে, ভুল সিদ্ধান্ত ও কিছু মানুষের পাল্লায় পড়ে নিজের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমায় এ ধরনের অনেক মেয়েই মেইল করে সেকথা জানিয়েছে। সেগুলো ভয়াবহ।
মিয়ার কথায়, পর্ন ইন্ডাস্ট্রির আসল রূপ বুঝতে পেরেই কোনও মতে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি।
পরিবারের সাথে তার সম্পর্কের বিষয়ে মিয়া খলিফা জানান, তার পর্ন ছবি করার কথা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গেই তাকে তার বাবা-মা ও পরিবারের লোকজন ত্যাগ করেছেন। পর্ন ছেড়ে দেওয়ার পরও আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি তাদের সঙ্গে। তবে সময়ের সঙ্গে ক্ষত কমে যাবে সেই বিশ্বাস বুকে ধরেই দিন পয়ার করছেন তিনি।
