সারাদেশ ১৮ জানুয়ারি, ২০২১ ০৩:৩৬

ব্যাংক অফিসারকে পিটিয়ে ছিনতাইয়ের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

ডেস্ক রিপোর্ট

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার নগেন্দ্র নাথ রায়কে (৩৯) পিটিয়ে আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার মমিনের গ্যারেজ মোড় মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা সজ্ঞাহীন অবস্থায় আহত নগেন্দ্র নাথকে উদ্ধার করে আদিতমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

আহত নগেন্দ্র নাথ রায় উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের টেপের বাজার এলাকার রমনী কান্ত রায়ের ছেলে। তিনি আদিতমারী উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার পদে কর্মরত।

অভিযুক্তরা হলেন- আদিতমারী গ্রামের মালেকুল ইসলাম কেচুর ছেলে সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মামুন মিয়া ও একই এলাকার আব্দুস সোবহান ভুঁইয়ার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের কার্যকরী সদস্য শাহীন ভুঁইয়াসহ অজ্ঞাত আরো দুই যুবক।

হাসপাতালের বেডে থাকা ব্যাংক কর্মকর্তা নগেন্দ্র নাথ রায় জানান, অফিসের চেক নিয়ে সোনালী ব্যাংক থেকে টাকা তুলে পাশের হোটেলে দুপুরের খাবার খেতে বসেন তিনি। খাবার শেষ হলে ছাত্রলীগের শাহীন ও মামুনসহ অজ্ঞাত দুই জন এসে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে আড়াই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়। জ্ঞান ফিরে দেখেন তিনি হাসপাতালে।

পরে বিষয়টি ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাদের জানানো হলে সন্ধ্যায় খবর পেয়ে হাসপাতালে আহত নগেন্দ্র নাথকে দেখতে আসেন আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। এ সময় তার চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং থানা পুলিশকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগের সদস্য শাহীন ভুঁইয়া বলেন, রড দিয়ে মারপিট নয়, হাতাহাতি হয়েছে মাত্র। অপর অভিযুক্ত মামুন মিয়া বলেন, টাকা ছিনতাই নয়, ওই অফিসারের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে হাতাহাতি হয়েছে মাত্র।
আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা মেডিক্যাল অফিসার ডা. তাসনিম কবির বাংলানিউজকে বলেন, আহত নগেন্দ্র নাথ রায় মাথার পিছনের অংশে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন। ক্ষতস্থানে রক্ত জমাট বেঁধে আছে। চিকিৎসা চলছে, সুস্থ হতে সময় লাগবে।

আদিতমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, আহত অফিসারের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকদের বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নিতে থানা পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের মামুন ও শাহীন নামে দুই জনসহ অজ্ঞাতরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলেও আহত অফিসারের বরাত দিয়ে জানান তিনি।