বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৫:২৫

ভিডিও গেমিংয়ে দক্ষতাই হবে বিশেষ যোগ্যতা

ডেস্ক রিপোর্ট।।

গেমিং এ যাদের বিশেষ দক্ষতা, তাদের অনেকেই তারা কখনোই সিভি বা জীবন বৃত্তান্তে এটি উল্লেখ করতে চাইবেন না। তবে গেমিং এর দক্ষতাও যে একটি বিশেষ যোগ্যতা, বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এটা বুঝতে পারছে এবং এটিকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। এমনকি সামরিক বাহিনীতেও এখন গেমারদের নেয়া হচ্ছে।

বছরের পর বছর গেম খেলে আর প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে যে দক্ষতা তৈরি হয়, তাকে যে কর্মক্ষেত্রে কাজে লাগানো সম্ভব, সে ব্যাপারে নিশ্চিত গেম একাডেমী। তারা বলছে, এর পক্ষে নিরেট তথ্য-প্রমাণ তাদের কাছে আছে।

গেম একাডেমী মতে যারা গেম খেলছেন, তাদের অনলাইন প্রোফাইল বিশ্লেষণ করলেই জানা যাবে তাদের কার দক্ষতা কিসে। এরপর তাদের সে বিষয়ে আরও প্রশিক্ষণ দিয়ে এসব দক্ষতা আরও বাড়ানো যাবে।

 

ব্রিটেনের রাজকীয় বিমান বাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেন, "তথ্য সংগ্রহ করা, দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া এবং শান্ত থেকে সমন্বিতভাবে কাজ করা- এগুলো কিন্তু যারা ভালো গেম খেলে, তাদের বৈশিষ্ট্য।"

"আমরা বিমান বাহিনীতে যে ধরণের লোক খুঁজি, তাদের বেলাতেও এই দক্ষতাই দেখা হয়। কাজেই গেমিং এর মাধ্যমে অর্জিত দক্ষতা কোন কোন ক্ষেত্রে খুবই কাজে লাগবে।"

হেইজ রিক্রুটমেন্ট নামে একটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক রায়ান গার্ডনার বলেন, "গেমারদের অনেক ধরণের দক্ষতা আছে যা তারা পেশাগত কাজে লাগাতে পারে। যেমন টিমওয়ার্ক, প্রবলেম সলভিং বা স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং।"

কিন্তু তার মানে কি এই যে কোন গেমে আপনি শীর্ষ একশো জনের মধ্যে জায়গা করে নিতে পারলে সেটা আপনার সিভি-তে লিখতে হবে?

গার্ডনারের মতে, আপনি যে কাজের জন্য আবেদন করছেন, সেটার জন্য এই গেমিং এর দক্ষতা কিভাবে কাজে লাগানো যাবে, সেটাই হচ্ছে আসল কথা।

দু বছর আগে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয় একটি সমীক্ষার ফল প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, গেমিং ছাত্রদের আরও সফল হতে সাহায্য করে। তবে এই সমীক্ষার পরও গেমিং এর ব্যাপারে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গী সেভাবে পাল্টায়নি বলে মনে করেন ড. ম্যাথিউ বার, যিনি এই গবেষণা চালিয়েছিলেন।

গেম একাডেমী তাই চেষ্টা করছে কীভাবে এরকম 'ক্যাজুয়াল' গেমারদের আরও সচেতন করে তোলা যায়, যাতে করে তারা বিশ্নেষণী ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে তাদের দক্ষতা বাড়ায়।

কর্মজীবনে সফল হয়েছেন, এমন অনেকে মনে করে, গেমিং এর অভিজ্ঞতা তাদের সাহায্য করেছে। ম্যাথিউস রিকি এদের একজন। তিনি তো দাবি করছেন, কেউ যদি অনলাইনে ইভ (EVE) গেম খেলতে পারে, তার মানে ইতোমধ্যে সে আসলে এমবিএর সমতুল্য ডিগ্রি অর্জন করে ফেলেছে।

রিকি অনলাইনে এমন এক গেম খেলতেন, যেখানে শত শত গেমারের নেতৃত্ব দিতেন। একসময় তিনি উপলব্ধি করলেন, এই দক্ষতাকে তিনি ব্যবসার কাজে লাগাতে পারেন। তিনি এখন জেনটেক নামে একটি কোম্পানি চালান। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্রান্ডকে কানাডার বাজারে ঢুকতে সাহায্য করেন।