জাতীয় ১০ জানুয়ারি, ২০২১ ১০:৫৭

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে সরকার এখনও চালকের আসনে

ডেস্ক রিপোর্ট

রোহিঙ্গা আসার পর থেকে তাদের ফেরাতে সরকারের যেসব উদ্যোগ তা ইতিহাস সৃষ্টি করেছে তাদের ফেরাতে সেই থেকে এখনও সরকারের পররাষ্ট্রনীতি চালকের আসনে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন

আজ রোববার বেলা ২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে মেজর (অব.) মোহাম্মদ এমদাদুল ইসলামের দুটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন

একে আবদুল মোমেন বলেন, আমরা আশাবাদী রোহিঙ্গাদের তারা ফেরত নেবে

আমরা প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারত, চীন, থাইল্যান্ডসহ সবদেশে গেছি সবাই স্বীকার করেছে রোহিঙ্গা সমস্যা সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার তাই সমস্যা নির্মূলও করবে তারা সবাই বলেছে, স্থায়ী সমাধান হলো লোকগুলো ফিরিয়ে নেওয়া সুতরাং সেইদিন থেকে এখনও আমাদের পররাষ্ট্রনীতি ড্রাইভার সিটে আছে আমেরিকা বলেন, ইউরোপ বলেন- সবাই একবাক্যে বলছে মিয়ানমারকেই রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে হবে

তিনি বলেন, দুনিয়ার কোথাও দেখেছেন ১১ লাখ মানুষকে জায়গা দেওয়ার? সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরাকের ১০ লাখ বাস্তুহারা মানুষ ইউরোপের ২৭টি দেশে জায়গা দিতে গিয়ে হিমশিম খেয়েছে আর এখানে ১১ লাখ মানুষকে মানবিক কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয় দিয়েছেন

প্রথমদিকে বিদেশিরা কেউ সাহায্য করেনি এখনকার লোকজন তাদের ঠাঁই দিয়েছেন, খাবার দিয়ে সাহায্য করেছেন আমরা এটি নতুন আদর্শ সৃষ্টি করেছি বাঙালিরা মানুষ, তারা মানুষকে মানবিকতার চোখে দেখেযোগ করেন মন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে মিয়ানমারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার প্রতিবেশী রাষ্ট্র তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে তারা বারবার বলছে, রোহিঙ্গাদের নিয়ে যাবে ভেরিফেকশন করার পর তারা কখনও বলেনি, রোহিঙ্গাদের নেবে না আমরা বলেছি, তাদের নিয়ে যাও তবেইউ মাস্ট এনসিউর সিকিউরিটি অ্যান্ড সেফটি তারা অঙ্গীকার করেছে নিয়ে যাবে কিন্তু এরপরও আজ প্রায় সাড়ে বছরে একটি রোহিঙ্গাও ফেরত যায়নি কারণ তাদের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব

তিনি বলেন, গত বছরের ২০ জানুয়ারি মিয়ানমারের সঙ্গে বড় মিটিং হয় এরপর কোভিড ইলেকশনের বাহানা দিয়ে তারা আর মিটিং করেনি আমরা আশা করছি, নতুন করে তাদের সঙ্গে বসবো ইনফেক্ট আজকে মিয়ানমারের সঙ্গে মিটিং চলছে

১৯৭৮ ১৯৯২ সালে দেখেছি, তখন অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছিল আবার নিয়েও গেছে ১৯৯২ সালে প্রায় লাখ ৫৩ হাজার রোহিঙ্গা দেশে আসে পরবর্তীতে আলোচনা মাধ্যমে তারা লাখ ৩০ হাজারকে নিয়ে যায়বলেন মন্ত্রী

তিনি বলেন, ইতিহাস আছে তারা নিয়ে গেছে, সেজন্য আমরা আশাবাদী বর্তমানে ১১ লাখ রোহিঙ্গাকেও নিয়ে যাবে কিন্তু কখন নিয়ে যাবে, তা বলা মুশকিল বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর জন্য যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সব নিয়েছে আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক আলোচনা চালাচ্ছি

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক . শিরীণ আখতার বিশেষ অতিথি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল